নয়াদিল্লি: মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি সেনা শাসিত দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক তৈরির জন্য ভারতের সমালোচনা করেছেন। বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকার তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাত বছরেরও বেশি সময় গৃহবন্দী করে রাখার পর ১৩ নভেম্বর সু চিকে মুক্তি দেয় মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এদিকে ১৯৮০ সালে ভারতে বসবাস করেন সু চি।
একসময় ভারত সু চির গোঁড়া সমর্থক ছিলো। কিন্তু ১৯৯০ সালের দিকে নিরাপত্তা ও জ্বালানি ইস্যুতে দেশটি ক্রমেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।
বিশেষত দেশটির তেল ও গ্যাসের প্রতি ভারতের আগ্রহ আছে এবং একইসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রোধ করাও এ মিত্রতার অন্যতম প্রধান একটি উদ্দেশ্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সু চি বলেন, ‘ভারতের আচরণে আমি হতাশ। ভারত আমাদের সঙ্গে আছে বলে আমি এতোদিন ভেবে এসেছি। অর্থাৎ দেশটি মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরুর আদর্শ ধরে রাখবে বলে আমি আশা করেছিলাম। ’
‘আমি জেনারেলের সঙ্গে সম্পর্কের বিরোধীতা করছিনা। কিন্তু ভারতীয় সরকার আমাদের সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রাখবে বলে আমি আশা করি। ’
সংবাদপত্রটিকে সু চি আরও জানান মুক্তির পর তিনি ইন্টারনেট যোগাযোগের আবেদন করেছেন। এর সাহায্যে ফেইসবুক ও টুইটারের মত সামাজিক নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে তার সমর্থকদের সঙ্গে যোগযোগ করবেন বলে আশা করছেন সু চি।
মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগাভাগি করা ভারত জুলাই এ দেশটির সেনা নায়ক থান শুয়েকে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানায়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানায় মানবাধিকার কর্মীরা। বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো ও চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে মিয়ানমারের সেনা শাসকের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে ভারত এর গণতান্ত্রিক নীতি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এদিকে চলতি মাসের প্রথমে ভারত সফরে এসে মিয়ানমারের প্রতি এ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য দেশটির সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০