জেনেভা: নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আইভরি কোস্টে ৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং ২০০ জন আহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার হাইকমিশনার রোববার এই তথ্য দিয়ে তিনি একে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন উল্লেখ করেন।
এদিকে, আইভরি কোস্টের নেতা লরেন্ট জিবাগবো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বললে তারা তা প্রত্যাখ্যান করে। শান্তিরক্ষা মিশনের কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত তিন দিনে এখানে ৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘ যখন নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হয় তখন অবশ্যই এর তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে ব্যাহত হচ্ছে , জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের স্বাভাবিক চলাফেরাতেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। একারনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়ানক এই অপরাধের তদন্ত করা অপেক্ষাকৃত কঠিন হয়ে পড়ছে। ’
উল্লেখ্য, গতমাসে অনুষ্ঠিত আইভরি কোস্টের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লরেন্ট জিবাগবো এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যালাসেন্স ওয়াতরা উভয়ই নিজেদের বিজয়ী দাবি করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থার আয়োজনে পুনরায় নির্বাচনে ওয়াতরা জয়ী হলেও জিবাগবো একগুয়েভাবে ক্ষমতা ধরে রাখে।
এদিকে বৃহস্পতিবার আইভরি কোস্টের বাণিজ্যিক রাজধানী আবিদজানে জিবাগবো’র সেনাবাহিনী জাতিসংঘের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে ওয়াতরার সমর্থকদের এক বিক্ষোভ মিছিল সেখানে পৌছালে ভয়াবহ সহিংসতা শুরু হয়। এতে হতাহত হয় অনেকে।
শনিবার জিবাগবো আইভরি কোস্টে নিয়োজিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের ১০,০০০ সৈন্যকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলে। কিন্তুু জাতিসংঘ মহাসচিব এই দাবি সম্পূর্ণ প্রত্যাখান করে জিবাগবোকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন।
আইভরি কোস্টে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত হ্যামাদাউন তোরে বলেন ,‘ আমরা আমাদের পাহারা অব্যাহত রেখেছি । আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত ।
শুধু জাতিসংঘই নয় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, আফ্রিকান ইউনিয়ন, আইভরি কোস্টের পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশের সংস্থা ইসিওডব্লিওএএস সবাই জিবাগবোকে পদত্যাগ করে ওয়াতরার হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, ২০ ডিসেন্বর ২০১০