ইয়াঙ্গুন: জাতিসংঘ মহাসিচব বান কি-মুনের বিশেষ দূত তিন দিনের সফরে মিয়ানমার পৌঁছেছেন। নির্বাচন পরবর্তী দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে শনিবার তিনি সেনা শাসিত দেশটিতে পৌঁছান।
সফরের অংশ হিসেবে মিয়ানমার বিষয়ক বান কি-মুনের বিশেষ দূত বিজয় ন্যামবিয়ার প্রথম মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাওয়া হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরবর্তীতে তিনি সু চিসহ দেশটির অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সু চি’র একান্ত সহকারী নায়ান উইন এ তথ্য জানান।
বিজয় ন্যামবিয়ার সোমবার দেশ ত্যাগ করবেন।
১৩ নভেম্বর মিয়ানমারের গণতন্ত্রীপন্থী নেত্রী সু চি ৭ বছরের গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি পান। এ ঘটনার পর এটাই জাতিসংঘের উচ্চ পদস্থ কোনো কর্মকর্তা সু চি’র সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের ঘটনা।
বহু বছর ধরেই বান কি-মুনসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো সু চিসহ আরও ২ হাজার ১০০ জন রাজনৈতিক কারাবন্দীর মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন।
তবে মিয়ানমারে দুই দশকের মধ্যে গত ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনের প্রায় এক সপ্তাহ পর সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে প্রতারণার অভিযোগ ও নেত্রীকে মুক্তি না দেওয়ার প্রতিবাদে এ নির্বাচন বর্জন করে সু চি’র ন্যাশনাল লীগ ফর
ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলটি। কিন্তু নির্বাচনের আইন ভঙ্গের অপরাধে দলটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে জান্তা সরকার।
মিয়ানমারে ১৯৬২ সাল থেকে সেনা শাসন চলে আসছে। এর আগে ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এনএলডি বড় ধরনের জয় পায়। কিন্তু কখনোই তাদের মতা গ্রহণ করতে দেয়নি দেশটির জান্তা এবং দলের নেত্রী সু চিকে গৃহবন্দী করে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০