সিউল: চরম উত্তেজানার মধ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য পীত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ নৌ মহড়া শুরু করছে। রোববার থেকে চারদিন ব্যাপী ওই মহড়ায় শক্তি প্রদর্শনে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু শক্তি বিশিষ্ট যুদ্ধ বিমানবাহী নৌযান উইএসএস জর্জ ওয়াশিংটন এবং এর যোদ্ধা দল।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়া ভয়াবহ হামলা চালানোর কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে এ মহড়া। হামলায় দুই নৌসেনা ও দু’জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গুলি ছোঁড়ার মহড়ার জবাবে হামলা করা হয় বলে পিয়ংইয়ং থেকে দাবি করা হয়। একইসঙ্গে দেশটির পরবর্তী মহড়া দ্বীপপুঞ্জটিকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে বলেও শুক্রবার সতর্ক করে উত্তর কোরিয়া।
মহড়ার উদ্দেশ্যে বুধবার জর্জ ওয়াশিংটন পীত সাগরের উদ্দেশ্যে জাপান বন্দর ত্যাগ করে।
এদিকে এ ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন কোনো প্রকার সমালোচনা করেনি। একইসঙ্গে এ নৌ মহড়ার বিরোধী বলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেয় দেশটি।
তবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আসন্ন এ মহড়া ‘প্রকৃতিগতভাবে আত্মরামূলক’ হবে বলে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। একইসঙ্গে আরও কয়েক মাস আগেই এর পরিকল্পনা করা হয় এবং চীনকে ল্ক্ষ্য করে এ মহড়া নয় বলে আশ্বস্ত করা হয়।
তবে কিম জং-ইলের অস্থিতিশীল রাজ্যেকে নিরস্ত্র করার জন্য এটি শক্তির একটি প্রদর্শন বলেও ওয়াশিংনের তরফ থেকে জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার অজ্ঞাত এক সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ বার্তাসংস্থা জানায়, ‘পরিকল্পনার তুলনায় এ মহড়ার তীব্রতা অনেক বেশি হবে। এতে অংশ নেওয়া বাহিনী গুলি ও বোমার মহড়া চালাবে। ’
মার্কিন নৌবাহিনীর ৯৭ হাজার টনের জর্জ ওয়াশিংটন নামের জাহাজটি এর এক দশমিক আট হেক্টর ফাইট ডেকে প্রায় ৭৫টি বিমান ধারণ করতে পারে। এতে বর্তমানে ৫ হাজার ৫০০ সেনা সদস্য আছেন।
এছাড়াও এ মহড়ায় ইউএসএস কাইপেনস, ল্যাসেন, স্টেথেম এবং ফিজজেরাল্ড নামের বিমান ও নৌযান অংশ নিতে যাচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বিধ্বংসী রণতরী, পর্যবেক নৌযান, দ্রুতগামী রণতরী, সাহয্যকারী জাহাজ এবং সাবমেরিন বিরোধী বিমান মোতায়েন করবে বলে জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ জানান। তবে সেনা সদস্য বা নৌযানের সঠিক সংখ্যা জানানো হয়নি বলে কোরিয়া টাইমস সূত্রে জানাগেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০