নয়াদিল্লি: লেখক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দিল্লির আদালত।
ভারত বিরোধী বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে অরুন্ধতীসহ কট্টরপন্থী হুরিয়াত নেতা সাইদ আলী শাহ গেলানির বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হতে পারে।
আদালতে অভিযোগের শুনানির পর নগর ম্যাজিস্ট্রেট আদেশটি সংরণ করেন।
তবে এ অভিযোগপত্রে গেলানি ও অরুন্ধতী ছাড়াও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এ আর গেলানি ও জম্মু- কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শওকত হোসেনসহ আরও পাঁচজনকে বিচারের আওতায় আনার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এ আর গেলানিকে সংসদ আক্রমণের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট ভিকাস প্যাদর আদালতের সামনে বলেন, ‘অভিযুক্তরা স্বাধীন মত প্রকাশের সব সুযোগ হারিয়েছেন। একইসঙ্গে কাশ্মীর কখনোই ভারতের অংশ ছিলোনা বলে ভারত বিরোধী জন উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের এ আচরণকে আইপিসি ও বৈআইনি আচরণ প্রতিরোধ আইনের আওতায় আক্রমণাত্মক বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ’
অভিযোগ অনুযায়ী অভিযুক্তরা চলতি বছরের অক্টোবরে নয়াদিল্লির এক সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন। মঞ্চে এসময় অরুন্ধতী, গেলানি, মাওবাদী নেতা ভারা ভারা রাওসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ সম্মেলনে শ্রোতারা গেলানিকে উত্তক্ত্য করছিলেন।
আদালত ১ নভেম্বর অপরাধ কার্যপ্রণালী নীতিমালার অধীনে ধারা ১৫৬ (৩)’ র আওতায় অভিযোগটি গ্রহণ করেন। এতে একইসঙ্গে বলা হয় যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রাথমিক ব্যবস্থা নিতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। তাই ভারত বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০