সিউল: পীত সাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর মহড়ার পরিণতি কি হবে তা কেউই বলতে পারবে না। শনিবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যমে ওই হুশিয়ারি প্রচার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামারিক মহড়ার একদিন আগে দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)- তে ওই বার্তা প্রচার করা হয়।
পরমাণু শক্তি সমৃদ্ধ বিমান বহনকারী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন জাহাজ এবং তাদের যোদ্ধা বাহিনী চারদিনের ওই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
কেসিএনএ-এর প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে উল্লেখ করা হয়, তারাই প্রধান সন্ত্রসী। তাদের উসকানিতে সেনা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা মহড়ার প্রতিউত্তরে পিয়ংইয়ং ওই হামলা চালিয়েছে। মহড়ার সময় তারা উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে গোলা নিক্ষেপ করেছে।
কেসিএনএ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করে, ইয়নপিয়ং দ্বীপে এধরণের হামলার ঘটনা ঘটতো না যদি না যুক্তরাষ্ট্র পরমানু শক্তি বহনকারী জর্জ ওয়াশিংটন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ার ঘোষণা দিত।
এতে সতর্ক করে বলা হয় যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের বহর নিয়ে মহড়ায় অংশ নেয় তবে এর পরিণতি কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবারে গোলা হামলায় যদি দক্ষিণ কোরিয়ার দুই বেসামরিক মারা গিয়ে থাকে তবে তা সত্যিই দুঃখজনক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০