সিউল: চীন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র-দণি কোরিয়ার আসন্ন যৌথ নৌ মহড়ার সমালোচনা করেছে। তারা এ মহড়ার পরিবল্পনাকে ‘আগুনে ঘি ঢালা’ বলে উল্লেখ করেছে।
পীত সাগরের পশ্চিম উপকূলে রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ মহড়ার সমালোচনা দুই কোরিয়ার মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোং লি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিনা অনুমতিতে আমাদের এক্সকুসিভ অর্থনৈতিক এলাকায় যেকোনো দলের যেকোনো ধরনের সেনা কার্যক্রমের বিরোধীতা করছি। ’
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া এ বিবৃতিটি প্রকাশ করে।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র বিষয়ক আইনানুযায়ী উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিশিষ্ট অর্থনৈতিক এলাকা বিস্তৃত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে চীনের গবেষক মেজর জেনারেল লু ইয়ানের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানায়, ‘এমন স্পর্শকাতর সময় ও স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দণি কোরিয়ার স্পর্শকাতর ও উসকানিমূলক সেনা কর্মকান্ড চালানো উচিত নয়। ’
ইয়ান চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সেনা বিজ্ঞান একাডেমীর একজন গবেষক।
তবে উত্তেজনা কমানোরও আহ্বান জানায় উত্তর কোরিয়ার অন্যতম প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন।
এ বিষয়ে হোং বলেন, ‘কোরীয় দ্বীপপুঞ্জের পরিস্থিতি অতি মাত্রায় জটিল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় উভয় পরেই শান্ত ও বিরত থাকা উচিত। ’
একইসঙ্গে এ এলাকার উত্তেজনা কমাতে চীন উত্তর কোরিয়াকে প্রভাবিত করবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে।
এদিকে চারদিনের এ মহড়ায় দণি কোরিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার উপকূলের কাছে যুদ্ধ বিমানবাহী নৌযান ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন প্রেরণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর কোরিয়া থেকে দেিণর দ্বীপকে ল্য করে গোলা ছোঁড়ার পাঁচদিন পর আগামী রোববার থেকে এ মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে।
উত্তরের এ হামলায় দুই নৌসেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ মোট চার জন নিহত ও আরও ১৮ জন আহত হন।
এদিকে দক্ষিন কোরিয়ার সেনা মহড়া চলাকালে দেশটির গোলা উত্তরের জলসীমায় আঘাত করায় এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে উত্তর কোরিয়ার।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১০