করাচি: পাকিস্তানের করাচিতে রোববার একটি মালবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২ জন মারা গেছেন। করাচি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বেসামরিক বিমান কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপি।
উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত মোট ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন যাদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় শ্রমিক রয়েছেন। মৃত্যের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইলইউসিন আইএল-৭৬ মডেলের বিমানটি বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়নের মুহূর্তের মধ্যে এটি একটি বিল্ডিংয়ের উপর আছড়ে পড়ে।
২১ টন মালবাহী ওই বিমানটিতে ৮ জন ক্রু ছিলেন। এটি সুদানের রাজধানী খার্তুমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। এটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগুনের মাত্রা এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে তা দুটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপরে মুখপাত্র পারভেজ জর্জ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, রাশিয়ায় নির্মিত ইলিউশিন আইএল-৭৬ মডেলের বিমানটি সুদানের রাজধানী খার্তুমের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলো।
জর্জ বলেন, ‘বিমানটি স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে করাচি থেকে উড্ডয়ন শুরু করে এবং দেড় পরই মিনিট তা বিধ্বস্ত হয়। ’
করাচি পুলিশপ্রধান ফায়াস লেঘারি জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এতো জোরে বিস্ফোরণের শব্দ হয় যে লোকজন ভেবেছিলো এটা বোমা।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছে, দালশিয়া এলাকায় বিমানটি নির্মাণাধীন দুটি ভবনের ওপর পড়লে সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ১২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনুসন্ধান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা শাদ মাসিহ বলেন, ‘উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। আমরা এখনো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। ’
সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ সার্জন হামিদ পারহিয়ার বলেন, নয়টি মৃতদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় শ্রমিক। বাকি ছয়টি দেহ আগুনে সম্পূর্ণ ঝলসে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
গত চার মাসের মধ্যে পাকিস্তানে এটি তৃতীয় ঘটনা।
করাচি বিমানবন্দর থেকে এর আগে গত ৫ নভেম্বর ছোট একটি ভাড়া করা বিমান উড্ডয়নের কিছু সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় বিমানটির ২১ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২১ জুলাই রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে পাকিস্তানের একটি যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় ১৫২ আরোহীর সবাই মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০