কানকুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পারস্পারিক আপোস আর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে সোমবার শুরু হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলন ।
মেক্সিকোর ভ্রমন নগরী কানকুনে শুরু হওয়া ১২ দিনের এ সম্মেলনে উদ্ধোধনী দিনেই ‘আরও অধিক গোছালো পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীতার’ তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান ক্রিস্টিনা ফিগুয়ার্স।
তিনি বলেন, ‘অগোছালো পদক্ষেপ বা প্রচেষ্টা এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না, এ ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে তা কেবল মাত্র সমাঝোতার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।
সার্বজনীন স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানিয়ে সম্মেলনের আয়োজক মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ক্যালডেরন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই আমাদের বাস্তবতায় পরিনত হয়েছে।
আগত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ সারা বিশ্ব আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। সামগ্রিক স্বার্থে নিজ নিজ জাতীয় স্বার্থের গন্ডি পার হতে না পারলে তা হবে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা।
জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পাচৌরি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্তক করে বলেন, এ সম্মেলনের ব্যর্থ হলে তার ফলাফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যতবেশি মনুষ্যসৃষ্ট কার্বন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ততোই বাড়বে। আর তা জলবায়ুর জন্য ততো বেশি ক্ষতিকারক ফলাফল বয়ে আনবে।
অনাবৃষ্টি, বন্যা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমিয়ে আনার সময়সীমা কোনো অবস্থাতেই ২০১৫ সাল অতিক্রম করা উচিত নয়। আর এ ক্ষেত্রে ধীর পদক্ষেপ আমাদের সকলকে সেই ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে যার মুখোমুখি আমরা কখনোই হইনি।
এ সমস্যা পৃথিবীর কিছু দরিদ্র রাষ্ট্র ও অঞ্চলে আরও প্রকট হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
১৯৪ টি দেশের ১৫ হাজার প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এ জাতিসংঘ সম্মেলনে। গত বছরে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত সম্মেলন ব্যার্র্থ হওয়ার পর বিশ্ব সম্প্রদায় বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলো এ সম্মেলনের সফলতার আশায় তাকিয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০