ওয়াশিংটন: ছয়জাতির প্রধান পরমাণু প্রতিনিধিদের জরুরি বৈঠক আহবানের চীনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উপরন্তু উত্তর কোরিয়ার উসকানি এবং পরমাণু শক্তি প্রদর্শণ বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতে চীনের প্রতি আহবান জানিয়েছে দেশটি।
হোয়াই হাউজ মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, ছয়জাতির আলোচনা কোরীয় দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার অনৈতিক আচরণের বিকল্প হতে পারে না। উত্তর কোরিয়ার আচরন পরিবর্তনে চাপ প্রয়োগ করতে আমরা চীনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
গিবস দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার ১০০টি গোলা নিক্ষেপের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণে চীনের প্রতি আহবান জানান।
ওই হামলায় দুই নৌসেনা ও দুই বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর এটাই বড় ধরনের হামলার ঘটনা।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র পীত সাগরে রোববার থেকে চারদিনের যৌথ সামরিক মহরা শুরু করেছে।
মুখপাত্র ওযাশিংটনের অবস্থান পরিস্কার করে বলেন, পিয়ংইয়ংকে আলোচানার আগে তার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। এটা শুধু আলোচানার জন্য আলোচনা নয়। সকল পক্ষের জন্যই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি কিনটন আগামী সোমবার ছয় জাতির জরুরি বৈঠক আহবানের চীনের প্রস্তাবের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
চীন আগামী মাসের শুরুতে ছয় জাতির জরুরি বৈঠক আহবানের প্রস্তাব করেছে। চীনের পরমাণু মুখপাত্র উ ডাওই গত রোববার ওই প্রস্তাব করেন।
চীনের স্টেট কাউন্সিলর গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়াং বাকের সঙ্গে দেখা করেছেন। রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন তারা চীনের প্রস্তাব সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করছেন। তবে প্রেসিডেন্ট বলেছেন পিয়ংইয়ংকে আলোচনার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধ জাহজ ডুবিয়ে দেওয়া এবং সাম্প্রতিক গোলা হামলার বিষয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
বাংলাদেশ সময় ০৬১৩ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০