ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘আমি কেন মরে যাইনি সেটাই বিরক্তির কারণ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০
‘আমি কেন মরে যাইনি সেটাই বিরক্তির কারণ’

রোম: ইতালির চলচ্চিত্র পরিচালক ও দক্ষ কৌতুক অভিনেতা মারিও মোনিচেল্লি আত্মহত্যা করেছেন। ৯৫ বছর বয়সী এ পরিচালক সোমবার হাসপাতালের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএনএসএ এ তথ্য জানিয়েছে।

রোমের স্যান জিয়োভান্নি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করেন। এখানে তিনি প্রোস্টেট টিউমারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

ভ্যানিটি ফেয়ার নামের ম্যাগাজিনে ২০০৭ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মৃত্যু আমাকে ভীত করে না, বরং বিরক্ত করে। এর উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে কেউ না কেউ কাল মৃত্যুর কাছে চলে যাবে। তবে আমি এখন সেখানে নেই। আমি কেন বেঁচে আছি তা নয় বরং আমি কেন মরে যায়নি সেটাই আমার জন্য বিরক্তির কারণ। ’

‘অ্যামিচি মেই’ বা ‘আমার প্রিয় বন্ধু’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে মোনিচেল্লি সুখ্যাতি অর্জন করেন। এটাকে ইতালির কমেডি ধারার সর্বোৎকৃষ্ট ও তার অন্যতম চলচ্চিত্র বলে বিবেচনা করা হয়। এটাই হচ্ছে তার শেষ চলচ্চিত্র যা ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কারসহ অস্কার মনোনয়ন পায়।

তার অন্যান্য বিখ্যাত চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে, ‘বিগ ডিল অন ম্যাডোনা স্ট্রিট (১৯৫৮) এবং ‘ল্যা গ্রান্ডা গুয়েরা’ (দ্য গ্রেট ওয়াল) (১৯৫৯)।

তুসকানির ভিয়ারেজিওতে জন্ম নেওয়া মোনিচেলি থিয়েটার ও টেলিভিশনেও কাজ করেছেন। তিনি সর্বমোট ৬৫টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।

তার মৃত্যুর সংবাদটি সোমবার ইতালির রাই টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতেই তার জনপ্রিয়তার মাত্রাটি ধারণা করা যায়।

২০০১ সালে তিনি জি-৮ সম্মেলন নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন। তিনি একজন বামপন্থী ও বস্তুবাদী দর্শনের সমর্থক। সংস্কৃতিবিবর্জিত ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনির তিনি বড় সমালোচক।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।