ঢাকা: বোস্টন হামলার রহস্য এখনও রহস্যাবৃত রয়ে গেছে। তদন্তকারী দলের কর্মকর্তারা বলছেন, আটককৃত জোখার সারনায়েভকে জিজ্ঞাসাবাদে রহস্যোন্মচনের মতো তেমন কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী সংস্থার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোখার দাবি করেছেন, দুই ভাই কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। শুধু ধর্ম রক্ষার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। ”
জোখার দাবি করেন, “এ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তার বড় ভাই তামেরলান সারনায়েভ। ”
জোখার তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, “ইন্টারনেট থেকে বোমা তৈরির কৌশল রপ্ত করেন তারা। ”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জ্য কার্নি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জোখারকে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে গণ্য করা যায় না। তাই, সাধারণ বিচারপ্রক্রিয়াতেই তার বিচার সম্পন্ন হবে”।
জ্য কার্নি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের আইনানুযায়ী মার্কিন নাগরিকদের সামরিক আইনে বিচার হয় না। ৯/১১ এর পর আমরা শত শত সন্ত্রাসীকে কেন্দ্রিয় আইনে অভিযুক্ত করেছি এবং দণ্ড দিয়েছি। ”
জোখার ও তামেরলান চেচনিয় বংশোদ্ভূত হলেও মার্কিন নাগরিক বিধায় তারাও যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ আইনে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বোঝা গেছে এই দুই সহোদর নিজ থেকেই জিহাদি কার্যক্রম চালিয়েছেন। ”
সূত্রটি জানায়, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোখার এসব তথ্য জানালেও তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ”
বোস্টনের প্রাদেশিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, “যেহেতু তদন্ত কর্মকর্তারা এখনও সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কারও যোগসাজশ আছে বলে কোনো ইঙ্গিত পাননি, সেহেতু অনেক কাজ বাকি থাকলেও তারা আস্থার সঙ্গে বলতে পারেন এই হামলার সঙ্গে আর কেউ (সন্ত্রাসী সংগঠন) জড়িত নয়। ”
এ দিকে, বোস্টনে হামলাকারী ১৯ বছর বয়সী জোখারের বিরুদ্ধে গণহত্যাকারী অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র গঠন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: আশুরা জামান ও হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com