ঢাকা: এ কথা সবাই স্বীকার করবেন যে, শৈশবে আগেরদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে পরের দিন স্যারের কাছে অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ‘বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলাম’ ‘জ্বর উঠেছিল’ ‘পেট ব্যথা করেছিল’ ‘ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম’ এমন হাজারো অজুহাত উপস্থাপন করতেন। স্যার বিশ্বাস করলে তো রক্ষে, নতুবা হাতে-পিঠে ক’টা বেত্রাঘাত!
তবে, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলের একটি দুর্গম গ্রামের শিশুরা বিদ্যালয়ের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে এমন অজুহাত তো দাঁড় করেই না, বরং যে ‘দড়ির সেতু’ পার হতে জোয়ান-বয়স্কদের পা কাঁপে সেই সেতু পার হয়েই প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যায় তারা।

তবে মজার ব্যাপার হলো, শিশু-শিক্ষার্থীরা এতো ঝক্কি-ঝামেলা জয় করে যে বিদ্যালয়ে পাঠ নিতে যায় সে বিদ্যালয়টি ‘পারিয়ামান’ এলাকায় অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ান শব্দ ‘পারিয়ামান’ এর অর্থ ‘সেফ এরিয়া’!
জানা যায়, ২০০৮ সালে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে সেতুটি ভেঙে গেলে সেতুর স্থাপনার কাজে ব্যবহৃত দড়িগুলো থেকে যায়। সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় দড়িগুলোই এখন নদীটি পারাপারের একমাত্র উপায়।
তবে, এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে যেতে কারও দেরি হলে অথবা অনুপস্থিত হলে সহজ অজুহাত দাঁড় করানো যায়, ‘পড়ে গিয়েছিলাম স্যার’!
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: জনি সাহা ও হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর