মাদ্রিদ: বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকদের ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা স্পেনজুড়ে সতর্কতা জারি করে করেছে সরকার। শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলা ধর্মঘটের কারণে বিমান চলাচল বিপযস্ত হয়ে পড়েছে।
সরকার ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।
এরআগে উপপ্রধানমন্ত্রী আলফ্রেডো রুবালক্যাবা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকার সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করবে। তারা কাজে ফিরে না এলে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হবে এবং তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
স্পেনের সেনাবাহিনী শুক্রবার রাতে বিমান নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের দায়িত্ব নেয়। ধর্মঘটের ফলে বিমানবন্দরে প্রায় আড়াইলাখ যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন।
বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার দাবিতে রাষ্ট্রচালিত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এইএনএ`র সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকদের বিরোধ চলছে।
সম্প্রতি এইএনএ`র ৪৯ শতাংশ বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করে সরকার।
পাশাপাশি, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকরা বছরের কত ঘণ্টা কাজ করবে ওই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ ও জরুরি অবস্থার সময় সেনাবাহিনী বিমান চলাচলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে বলে শুক্রবার এ সম্পর্কিত একটি আইন পাশ করেছে স্পেন সরকার।
এরই জেরে অনানুষ্ঠানিক ধর্মঘটে যায় বেসরকারি বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকরা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কোনো ধরনের পূর্ব হুঁশিয়ারি ছাড়াই বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকরা অসুস্থতার অজুহাতে ছুটিতে যেতে থাকে। এর ফলে আন্দালুসিয়া ছাড়া আর সব বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকদের সংগঠন ইউএসসিএ`র প্রধান ক্যামিলো চেলা রয়টার্সকে জানান, কর্মীরা ধর্মঘটে যায়নি। একে তিনি `স্বতস্ফূর্ত বিদ্রোহ` বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এ ধরনের কর্মবিরতিকে মেনে নেওয়া যায় না বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মাদ্রিদ বিমানবন্দরে যাত্রী ক্রিস্টিনা সংবাদপত্র এল মুন্দোকে বলেন, "বিকেল পাঁচটায় আমার বিমানটি ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু পৌনে ছয়টার সময় পাইলট আমাদের বিমান থেকে নেমে যেতে বলেন। কেননা নিয়ন্ত্রকরা তাদের উড্ডয়নের অনুমতি দিচ্ছে না। "
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১০