ঢাকাঃ ভারতের নারীদের নিরাপত্তা দিনকে দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল শিক্ষার্থীর গণধর্ষণের ঘটনা আপাতত টনক নড়লেও নারীদের নিরাপত্তা সেভাবে দিতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার।
নতুন করে বিহারে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতে ভারতের উত্তর ও মধ্য প্রদেশে ফের দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
উত্তর প্রদেশ পুলিশ মঙ্গলবার জানায়, বানসদিহ এলাকায় রোববার রাতে নিকটস্থ মন্দির থেকে মাকে ডাকতে যাওয়ার সময় চার যুবক ১৫ বছরের এক মেয়ে অপহরণ করে। মেয়েটিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
কিশোরীর মায়ের অভিযোগে পুলিশ দেবেন্দ্র কুমার, শাম লাল, মোনজ কুমার এবং অমরেশ কুমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের পর কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে, কিন্তু তার পরিবারের তাকে বাঁচায়।
পুলিশের এস.পি অসোক ত্রিপাঠী জানান, আজ সকালে ঐ চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে মধ্য প্রদেশের ভুপালের টিকামগড় জেলায় ১৪ বছর বসয়ী এক আদিবাসী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের এক কিশোর।
মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে মেয়েটি যখন তার বাড়িতে একা ছিল তখন ১৭ বছরের ওই কিশোর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে মেয়েটির গায়ে আগুন লাগিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মেয়েটির শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
মেয়েটির ভাই জানায়, যখন সে বাসায় আসে তখন সে অভিযুক্তকে দেখে ফেলে এবং তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সে তার বাবাকে ডেকে আনতে ছুটে যায়। কিন্তু তারা ফিরে এসে দেখে অভি্যুক্ত পালিয়ে গেছে।
মেয়েটিকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মেয়েটির ভাই জানিযেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ ১৪৫৬ ঘণ্টা,২৩এপ্রিল,২০১৩
আশুরা জামান ও বুশরা ফারিজমা হুসাইন/সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর। -eic@bangalanews.com