ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে হামলার পরিকল্পনা ছিল বোস্টনে সন্দেহভাজন হামলাকারীদের। আটক সন্দেহভাজন হামলাকারী জোখার সারনায়েভ তদন্ত কর্মকর্তাদের এমন তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ সিটি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গত রাতে এফবিআই আমাদেরকে জানায়, জীবিত ‘হামলাকারী’ স্বীকার করেছে যে তাদের হামলার তালিকায় পরবর্তী স্থান হিসেবে নিউইয়র্ক সিটি ছিল। ”
ব্লুমবার্গ বলেন, “সে (জোখার) এফবিআইকে বলেছে যে সে এবং তার ভাই নিউইয়র্কে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল এবং টাইস স্কয়ারে বিস্ফোরণ ঘটাতো। ”
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ১৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর জোখার আর তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। তার গলায় গুলি লাগায় কথা বলতে পারছে না সে। লিখে তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে সে।
পুলিশ কমিশনার রেমন্ড কেলি জানান, সন্দেহভাজনদের কাছে দু’টি প্র্রেসার কুকার বোমা ও পাঁচটি পাইপ বোমা ছিল।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাতে একটি ড্রাইভারসহ একটি গাড়ি হাইজ্যাক করার পর দুই ভাইয়ের নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান কেলি।
কেলি জানান, হাইজ্যাক করা গাড়িতে গ্যাস কম থাকায় একটি নিকটবর্তী গ্যাস স্টেশনে চালককে গাড়িটি থামাতে বলেন সন্দেহভাজন হামলাকারীরা। এ সুযোগে পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে খবর দেয় ওই গাড়িচালক।
১৮ এপ্রিল হাইজ্যাক করা গাড়িটির গতি রোধ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তামেরলান সারনায়েভ। আর গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করা হয় তামেরলানের ছোট ভাই জোখারকে।
সম্ভাব্য হামলা থেকে নিউইয়র্ককে রক্ষা করায় মেয়র ব্লুগমবার্গ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা জানি, তাদের হামলা চালানোর সক্ষমতা ছিল। ”
গত শরতে সবশেষ নিউইয়র্কে জোখার সারনায়েভ গিয়েছিল বলে জানা গেছে। হাসপাতালে পুলিশি পাহাড়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছে জোখার।
যুক্তরাষ্ট্র সময় ১৫ এপ্রিল ম্যাসাচুসেটসের বোস্টন ম্যারাথনে জোড়া বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ২৬০ জন আহত হয়। জোখারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হবে জোখারের।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com