ঢাকা: পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহা’র করা হচ্ছে বলে দেশটির সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একাংশ অভিযোগ তুলেছে। মোশাররফকে গ্রেফতার করায় উদ্বিগ্ন সেনা কর্মকর্তারা।
শুক্রবার কোয়েটার কমান্ড এ্যান্ড স্টাফ কলেজের ৭৫ জন কর্মকর্তার একটি প্রতিনিধি দল কর্নেল সাকিব আলি চীমার নেতৃত্বে ডিফেন্স এ্যান্ড ডিফেন্স প্রডাকশন বিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুশাহিদ হুসাইন সাঈদের সঙ্গে পার্লামেন্টে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা সাবেক প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে সাঈদের কাছে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, “সামরিক কর্মকর্তাদের মতামত ছিল যে সংবিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর সমালোচনা করা যাবে না। ”
সেনা কর্মকর্তাদের মতামতের সঙ্গে সাঈদ সম্মতি পোষণ করে বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত এবং সংবিধান মতে বিচার বিভাগ ও সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় প্রতিষ্ঠান যেগুলো সব ধরনের সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকবে। ”
সিনেটর হুসাইন সাঈদ পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সামরিক কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞেস করেছেন যে সংবিধানে এমন কোনো অনুচ্ছেদ আছে কি যা কোনো প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করাকে বৈধতা দেয়। তিনি তাদেরকে জানান, সংবিধানে এমন কোনো অনুচ্ছেদ নেই যা কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে অবমান করার অনুমোদন দেয়।
মোশারফের সঙ্গে যেসমন ব্যবহার করা হচ্ছে তা ঠিক নয় এমন সমালোচনা করেছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন জেনারেল।
বৃহস্পতিবার পারভেজ মোশাররফকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। চার বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন জীবন কাঁটিয়ে দেশে ফেরার পর চারটি মামলায় লড়ছেন মোশাররফ। এর মধ্যে একটি মামলা হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পকির্ত।
রাজনীতিতে ফেরার জন্য ২৩ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে পাকিস্তানে ফিরে আসেন মোশাররফ। ১১ মে দেশের অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচন লড়ার কথা ছিল তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com