ঢাকা: যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে ধোঁয়া সৃষ্টি করতে সাদা ফসফরাস সমেত গোলা ব্যবহার বন্ধ করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে ফসফরাসের বদলে তারা পুরোপুরি গ্যাসের গোলা ব্যবহার করবে যা যুদ্ধক্ষেত্রে ফসফরাসের মতো সুবিধা দেবে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। গাজা সংঘাতে সাদা ফসফরাস ব্যবহারের জন্য ইসরায়েলের সমালোচনা করে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধের সময় সাদা ফসফরাস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘ন্যূনতম পরিমানের’ সাদা ফসফরাস সমেত বিদ্যমান গোলা শিগগিরই সরিয়ে নেওয়া হবে।
গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষিতে তিন বছর আগে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সাদা ফসফরাসবাহী গোলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন বিধি করবে। তিন সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধে এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি ও ১৪ ইসরায়েলি নিহত হয়।
২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়। দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর যুদ্ধের শেষ হয় ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি।
ওই যুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনবসতিতে ইসরায়েল সাদা ফসফরাস নিক্ষেপ করেছিল বলে অভিযোগ জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, যুদ্ধের আইনের তোয়াক্কা না করে ইসরায়েল ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা বেপরোয়াভাবে’ সাদা ফসফরাস ব্যবহার করে যা ‘বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ঘটায়। ”
তবে ইসরায়েলের দাবি, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছে এবং তারা গাজায় বেসামরিক লোক যেন নিহত না হয় সে চেষ্টা চালানো হয়েছে।
নিজ সৈন্যর গতিপথ সম্পর্কে শত্রুকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য ধোঁয়া সৃষ্টি করতে সাদা ফসফরাস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও শত্রুর অবস্থানের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটি।
এর প্রভাব খুবই ভয়াবহ। কোনো ব্যক্তির শরীরে সাদা ফসফরাস পড়লে তা হাড়ের ভিতর পর্যন্ত যেতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক এক কর্নেল বলেন, এই ধরনের রাসায়নিক পদার্থ (সাদা ফসফরাস) ১৭ মিটার বা ৫৫ ফুট দূরত্বের বস্তুকে পুড়িয়ে দিতে সক্ষম।
১৯৮০ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশন অন কনভেনশনাল ওয়েপন্স- এর প্রটোকল অনুযায়ী সাদা ফসফরাসকে আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com