ঢাকা: সাভারের রানা প্লাজার ধস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ডেকে আনবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে প্রকাশ করছে বিভিন্ন প্রতিবেদন।
পত্রিকাটি দুটি প্রশ্ন রেখেছে তার পাঠকের সামনে। প্রশ্নগুলো হলো-
১. বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের মর্মান্তিক ঘটনা কিভাবে আপনার ক্রয় আচরণকে প্রভাবিত করবে?
২. আপনি কি নির্দিষ্ট সামগ্রী বর্জন করবেন-এবং “নৈতিকতার সঙ্গে তৈরি’ পোশাকের জন্য আরও বেশি দাম দিতে কি আপনি ইচ্ছুক হবেন?
নিচে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য কতিপয় পাঠকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো-
টরেন্টো থেকে মারিয়া শুদখুরি বলেন, “নীতি মেনে পোশাক তৈরির জন্য ভোক্তাদের বেশি দাম দেওয়ার কথা বলা ঠিক নয়-ধনী খুচরা বিক্রেতাদের একটি বাধ্যবাধকতা হওয়া উচিত এটি। যদি আমরা বাংলাদেশ ও অন্যান্য গরিব দেশগুলো থেকে পোশাক কেনা বন্ধ করে দেই, তাহলে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হবে। ”
থমাস নিক্সন নামে আরেক পাঠক লিখেছেন, “এই ফ্যাক্টরি বিভীষিকার পর আমি নিশ্চিতভাবে নিশ্চিত করব যে আমার পোশাক নীতি মেনেই তৈরি হয়েছে। আমি এখন চীন, হাইতি, হন্ডুরাসে তৈরি হওয়া পোশাক পরিহার করি...এখন বাংলাদেশকে (অবশ্যই না করব) ! কানাডীয় (পোশাক) কিনুন। ”
টরেন্টোর ডোনা ম্যারি লিখেছে, “এখন আমি বাস্তবিকভাবে নগ্ন পায়ে হাঁটছি কেননা আমার জুতা ব্যবহারের যোগ্য নয় এবং আমি উত্তর আমেরিকার জুতা খুঁজছি..। তৃতীয় বিশ্বে প্রস্তুত হওয়া জিনিস আমি কিনতে চাই না কেননা আমি কানাডীয় প্রস্তুতকারকদের সহায়তার চেষ্টা করছি। ”
মন্ট্রিল থেকে বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত রাশেদ চৌধুরি লিখেছেন, “আমরা বাবা একজন বাংলাদেশি এবং আমি সেখানে ১০ বছর থেকেছি: আমি জানি দেশের অর্থনীতিতে কি উপকারটাই না করেছে পোশাকশিল্প, দেশের প্রত্যেকের জন্য সস্তা পোশাক সহজলভ্য করেছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিশেষকে নারীকে দিয়েছে কর্মসংস্থান। আমি পশ্চিমাদের বলতে চাই এই বিয়োগাত্মক ঘটনার পর পশ্চিমারা বাংলাদেশি পোশাক কেনা বন্ধ করুন। এ ধরনের পদক্ষেপের প্রভাব সামঞ্জস্যহীনভাবে শ্রমিকদের ওপর পড়বে যারা ইতোমধ্যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন পায়। ”
সাবরিনা হাশমি লিখেছেন, “‘নীতি’ মেনে তৈরি করার পোশাকের ব্যাপারে আমি কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই না কেননা আপনি কিভাবে জানবেন এগুলো সতিক্যার অর্থে নীতি মেনে তৈরি হয়েছে? সব লেবেলে লেখা থাকে কোথায় এটি তৈরি হযেছে, বলে না কোন পরিবেশে তৈরি হয়েছে। ”
লুইস গার্ডিনার বলেন, “আপনি যদি দেশগুলোকে বয়কট করেন, তাহলে আপনি আরও দারিদ্র্য তৈরি করবেন। অ-কানাডীয় ফ্যাক্টরিগুলোকে অনুমোদন দেওয়া উচিত এবং সে অনুমোদন একটি লোগো হওয়া উচিত যা ব্র্যান্ডগুলো তাদের লেবেলে লাগাবে। এসব ফ্যাক্টরি থেকে যেসব ব্যান্ড পোশাক নেয় তাদের দায়ী থাকা উচিত। যারা তাদের জন্য পণ্য তৈরি করে তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব না নিয়ে তারা অধিক পেতে চায়। ”
কারেন নামে গ্লোব এ্যান্ড মেইলের আরেক পাঠক লিখেন, “আমি এখন থেকে ট্যাগ দেখব এবং বাংলাদেশের তৈরি করা পণ্য কেনা পরিহার করব। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com