ঢাকা: রুটিনমাফিক ঠিক সময়ে সরকারি টাকায় তাদেরকে দেওয়া হয় গরম গরম, সুস্বাদু, তাজা ও সাস্থ্যকর খাবার। তারা কেউ নয়, তারা জেলখানার কয়েদি।
যুক্তরাজ্যের কারাগারগুলোতে এমনই জামাই আদরে থাকেন কয়েদিরা।
অন্য দিকে সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা করুণ। ঠিক সময় খাবার সরবরাহ করা হয় না রোগীদের। আবার যে খাবার দেওয়া হয় তা অনেক সময় খাবার অযোগ্য।
ব্রিটেনের ছয়টি জেলখানা ও একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর এমন দাবি করেছে দ্য সান।
এ নিয়ে একটি এসক্লুসিভ প্রতিবেদন ছেপেছে ব্রিটিশ পত্রিকাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালের রোগীদের চেয়ে জেলের কয়েদিদের উন্নত মানের খাবার দেয়া হয়।
গবেষক ডা. নিক জোনস বলেন, “হাসপাতালের খাবার রান্নাঘর থেকে বাইরে আসে তখন এর মান ভাল থাকে, কিন্তু রোগীর কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এর মান নষ্ট হয়ে যায়। ”
হাসপাতালের খাবার রান্নার সময় উন্নতমান ও স্বাস্থ্যকর থাকে, কিন্তু ওয়ার্ডে পৌঁছাতে ২ ঘন্টা দেরি হওয়ার কারণে খাবারটি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পরে।
বোর্নিমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষাবদগণ একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে লিখেছেন, “গরম খাবার যখন ঠাণ্ডা হয়ে যায়, তখন খাবারের রঙ নষ্ট হয়ে যায়, এবং খাবারটি শুকিয়ে যায়। ”
হাসপাতালের ক্যাটারিং সিস্টেমে অনেক স্বমন্বয়তার অভাব ও বিশৃঙ্খলা রয়েছে বলে দেখতে পেয়েছে সানের অনুসন্ধানি দল।
তারা জানায়, “গরম খাবার ট্রলিতে রেখে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছানো হয়, যা ৪৫ মিনিট সময় নিতে পারে। ওয়ার্ড কর্মচারী অথবা নার্সের সিফট বদল ও খাবার হস্তান্তরে আরো এক ঘন্টার লেগে যায় রোগীর কাছে খাবার পৌঁছাতে।
স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যের জন্য আন্দোলনকারী সংগঠন সাসটেইন জানিয়েছে, ৫ কোটি পাউন্ড বরাদ্দের পরও হাসপাতালের খাবারের মান উন্নত হয়নি।
সম্পাদনা: আশুরা জামান ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর। eic@banglanews24.com