ঢাকা: সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ওপর সরকারি বাহিনী রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে-যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অভিযোগের রেশ কাঁটতে না কাঁটতেই দেশটির সরকারপক্ষত্যাগী এক জেনারেল অভিযোগ করেছে, সেনাবাহিনী রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল।
শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের একটি সংবাদ মাধ্যমকে রাসায়ণিক অস্ত্র শাখার সাবেক সেনা জেনারেল জহির আল-সাকিত জানান, হারুনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যুদ্ধরত এফএসএ (ফ্রি সিরিয়ান আর্মি) বাহিনীর ওপর রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, “ফ্রি সিরিয়ান আর্মি সেসব গুহা ও টানেল ব্যবহার করে সেগুলোতে বিষাক্ত রাসায়ণিক ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু আমি সব রাসায়ণিক পদার্থের সঙ্গে পানি মেশাই এবং বিষাক্ত রাসায়ণিক পদার্থের বদলে জাভাল পানি ব্যবহার করি। ”
সাকিতের মতে, পক্ষত্যাগের আগে যুদ্ধক্ষেত্রে এফএসএ’র যোদ্ধাদের ওপর কোনো রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমি সব রাসায়ণিক অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলাম এবং সেসব রাসায়ণিক অস্ত্রের সঠিক অবস্থান আমি আপনাদের দেখিয়ে দিতে পারব। ”
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সিরিয়া রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
এরপর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন অভিযোগ করে, সিরিয়ায় রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহারের ‘সীমিত কিন্তু গুরুতর প্রমাণ’ রয়েছে তাদের কাছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ সিরিয়ার কাছে আহ্বান জানিয়েছে, রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে তা পরিষ্কার করার জন্য সিরিয়ায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক ঢুকতে দেওয়া হোক।
এদিকে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানোভ শনিবার বলেছেন, সিরিয়ায় বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগের ধোঁয়া তোলা উচিত হবে না।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে সিরীয় সরকার। সিরিয়ার দাবি, দামেস্কের যুদ্ধরত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কূটচাল এটি।
সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী ওমরান আল-জুবি শুক্রবার রাশিয়ার একটি টেলিভিশনকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সরকার যেসব কথা বলেছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এটি ভিত্তিহীন এবং এটি সিরিয়ার ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের নতুন কৌশল। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com