ঢাকা: পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ভারতের নাগরিক সরবজিৎ সিংকে মারধরের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। লাহোর হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর আহত সরবজিতের উপর ‘কনস্যুলার’ সাহায্যের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এই উত্তেজনা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৯০ সালে পাঞ্জাবে বোমা হামলায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরবজিত সিংকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত। ওই বোমা হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছিল। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তিনি লাহোর কারাগারে বন্দি আছেন।
শুক্রবার কারাগারের কমপক্ষে ছয়জন বন্দি সরবজিতের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা অধিকাংশই মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি। সরবজিতকে পাকিস্তানের শত্রু বলে উল্লেখ করে হত্যার উদ্দেশ্যে সরবজিতের উপর ব্লেড, ইট এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত সরবজিত লাহোরে জিন্নাহ হাসপাতালের কোমায় আছেন। তার অবস্থা সংকতটাপন্ন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
এদিকে সরবজিতের পরিবার পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। এরি মধ্যে তারা সবজিতের সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন। সরবজিতের পরিবার এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হামলার সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল বলে অভিযোগ করে।
এদিকে সরবজিতের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ভারত সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক টানাপোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। সরবজিদেন উপর সাক্ষাতের পাকিস্তানের সরবজিতের সঙ্গে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাক্ষাত করতে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর