ঢাকা: স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে এক তৃতীয়াংশ রোগী বিষণ্ণতায় ভোগেন। যার ফলশ্রুতিতে তাদের আবারও স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
স্ট্রোকের পর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার মধ্যে উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ, উত্তেজনা, অনিয়ন্ত্রিত কান্না, উদাসীনতা, বিভ্রম ও অলীক কিছুর অস্তিত্বে বিশ্বাস সাধারণ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি দেখা দেয় তা হলো বিষণ্নতা, এর মাত্রা বেশি বা কম হতে পারে।
কিছু রোগী সময়ের ব্যবধানে সুস্থ হয়ে ওঠেন আবার কেউ কেউ বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকেন। আবার কিছু রোগী স্ট্রোক হওয়ার দুই বছর পর বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন।
স্ট্রোকের পরবর্তী বিষণ্ণতার কারণে অনেকের মধ্যে আত্নহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়।
নারীরা স্ট্রোকের পরবর্তী বিষণ্ণতায় বেশি ভুগে থাকেন। তাদের মধ্যে একাকিত্ব, পরিবার থেকে দূরে থাকার প্রবণতা, জীবনের স্বাভাবিক চলার পদ্ধতিতে পরিবর্তন দেখা দেয়।
চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, বিষিণ্নতা প্রতিরোধক হিসেবে তারা রোগীদের সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটার (এসএসআরআই) জাতীয় এন্টি-ডিপ্রেসেন্ট ঔষধ যেমন ফ্লুক্সেটাইন( প্রোজাক),সেরট্রালাইন (জোলোফট) এবং এসিটালোপ্রাম (লেক্সাপ্রো) দিয়ে থাকেন।
স্ট্রোক বিশেষজ্ঞ ম্যুরে ফ্লাস্টার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অপর্ণা শর্মা আর বিষণ্ণতা বিশেষজ্ঞ মুরালি রাও এর তত্ত্বাবধানে
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্ট্রোকের পরে এসব লক্ষণ দেখা দেবার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিকারের পদক্ষেপ নিতে হবে। সময় মতো ওষুধ ও যথাসময়ে চিকিৎসা প্রভাব অনেকাংশেই লাঘব করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৩
সম্পাদনা: বুশরা ফারিজমা হুসাইন ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com