ঢাকা, রবিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনের রাজনীতিবিদদের অর্থনৈতিক জ্ঞান নিয়ে সন্দিহান জনগণ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৬, এপ্রিল ২৯, ২০১৩
ব্রিটেনের রাজনীতিবিদদের অর্থনৈতিক জ্ঞান নিয়ে সন্দিহান জনগণ!

ঢাকা: ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে জীবন-যাত্রার মান পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের তাৎক্ষণিক কর্মক্ষমতার দক্ষতায় বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে ব্রিটেনে অধিকাংশ ভোটার, বিশেষ করে জোট সরকারের সমর্থকরা।

জীবন-যাত্রার মান আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের ক্ষমতা আদৌ আছে কি নেই তা নিয়ে জনমনে বেশ সন্দেহ রয়েছে।

এজন্য ঠিক কাকে ভোট দেওয়া যায় এ নিয়েও দোলাচলের অন্ত নেই। ব্রিটেনের নাগরিকরা মনে করেন, একটি কার্যকর অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরির ক্ষমতাটুকুও সরকারের নেই।

জরিপে দেখা গেছে, ২২ শতাংশ কনজার্ভেটিভ ও ২৭ শতাংশ লিবারেল ডেমোক্রেটস সমর্থক মনে করেন, সঠিক নীতি প্রণয়ন করা হলে আগামী দু’তিন বছরেই জীবন-যাত্রার মান ২০০৮ সালের পর্যায়ে ফিরে আসবে। ৫৫ শতাংশ লেবার পার্টি সমর্থকদের বিশ্বাস, সঠিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

পরবর্তী নির্বাচনে প্রধান বিরোধী হবে জনগণের অদৃষ্টবাদ ও রাজনীতিকদের প্রতি তাদের অবিশ্বাস- লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ডের এমন বক্তব্যের ওপর জরিপ চালিয়ে ‘রেজোল্যুশন ফাউন্ডেশন’ ‘ইউগভ’।

৬৫ শতাংশ কনজারভেটিভ ভোটাররা –‘২০১৫ সালের নির্বাচন ও এর পরবর্তী সময়ে দিকে তাকিয়ে আমরা যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা করতে পারি সুস্থ সরকারি অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে-এমন ধারণার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।  

অন্যদিকে ৭০ শতাংশ লেবার সমর্থকদের বিশ্বাস, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সঙ্গে সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সঠিকনীতির দৃঢ় বাস্তবায়নের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সরকারের পক্ষে সম্ভব। ২৭ শতাংশ কনজারভেটিভ সমর্থকও এই ধারণায় বিশ্বাসী।

এ প্রসঙ্গে ‘ইউগভ’র প্রেসিডেন্ট পিটার কেলনার বলেন, “যেসব রাজনীতিকরা জনগণের কাছ থেকে একটি স্পষ্ট নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছেন, তাদের এই অপেক্ষা নিরর্থক। ভোটাররা জানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক ঘাটতি কমাতে হয় এবং আরও অনেক চাকরি তৈরি করতে হয়। কিন্তু তারা কোনটাকে আগে বিবেচনায় রাখবে তা নিয়েই তারা দ্বিধাবিভক্ত। ”

বাংলাদেশ ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: বুশরা ফারিজমা হুসাইন, হুসাইন আজাদ ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।