ঢাকা: টুইটার, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়ানোর বড় উৎস হিসেবে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আবিস্কার হওয়ার আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়ানো বেশ সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য ছিল।
ব্রিটিশ নিরাপত্তা সংস্থা এম১৫ ও তার শাখা গোয়েন্দা সংগঠন জিসিএইচকিউ এবং এম ১৬ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, টুইটারে মতো সাইটে কে কাকে ফলো করছে, কোনো ধরনের তথ্য আদান প্রদান করা হয়।
গত মাসে আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) গত মাসে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছে। ইতোমধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ফলোয়ার পেয়েছে। আর তারা ফলো করছে সোমালিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-শাবাব ও সিরিয়ার সরকার বিরোধী গোষ্ঠী আল-নুসরাসহ সাত ব্যক্তিকে। আল-নুসরার বিরোধী আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ রয়েছে।
বোস্টন হামলার পর এ বিষয়ে বেশি করে নজর কেড়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, তামেরলান ও জোখার সারনায়েভ বোমা বানানোর পদ্ধতি ও হামলার পরিকল্পনা এবং হামলা করা-সবই শিখেছে অনলাইন ব্যবহার করে। এক অনলাইন ‘মেন্টর’ হামলা চালাতে তাদের প্ররোচিত করেছেন।
জেনেভা সেন্টার ফর দ্য ট্রেইনিং এ্যান্ড এনালাইসিস অব টেরোরিজমের জন পল রউলার বলেন, “সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো আধুনিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”
তবে তিনি মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবে না। কেননা এ ধরনের কাজে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থাকে। আর এমন কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো সন্ত্রাসী নেতারা ‘বদ্ধ কক্ষে’ই শুধু শেয়ার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com