ঢাকা, রবিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সৌদিকরণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করায় অস্বস্তিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

সৌদি আরব করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২০, মে ১, ২০১৩

রিয়াদ: সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের সদ্য জারিকৃত আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাতে উদ্বেগ জানিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মালিক সৌদি নাগরিকরা।

ছোট ক্যাফেটেরিয়া ও মুদির দোকান মালিকরা বড় কোম্পানির সঙ্গে তাদের ছোট ব্যবসাকে তুলনা না করে সৌদিকরণ প্রকল্প থেকে তাদের বাদ দেয়ার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।



বড় বড় কোম্পানির মতোই ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশি সরিয়ে সেখানে সৌদি নাগরিকদের কাজ দেয়ার যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেটা নিতাকাত বা সৌদিকরণ প্রকল্পের মতই ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান মালিকরা।


তারা বলেন, “একটি মুদির দোকানে এক হাজার রিয়াল বেতনে একজন বিদেশিকে রেখে সেখান থেকে কিছু উপার্জন করা সম্ভব কিন্তু এখানে বিদেশির জায়গায় একজন সৌদি নাগরিককে চাকুরি দিলে তাকে যে পরিমাণ বেতন দিতে হবে সেটার পর আর আমাদের অবশিষ্ট কিছুই থাকবেনা। ”


তারেক আল কাবর, দাম্মামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি ক্যাফেটরিয়ার মালিক। তিনি জানান ক্যাফেটরিয়া সৌদিকরণ করা অসম্ভব। তিনি আরো বলেন, “ছোট ও বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পদ এবং কর্তৃপক্ষের আয়ের বিশাল পার্থক্য রয়েছে। ”


সৌদিকরণ করে ছোট ব্যবসাকে বন্ধ না করে সেটা দিয়ে তরুণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয়ের পথ সুগম করা পক্ষে মত দেন তরুণ এই সৌদি নাগরিক।


তিনি সৌদিকরণ বিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ না করে এই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করার জন্য শ্রম মন্ত্রনালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান। তরুণ সৌদি নাগরকরা বিদেশি শ্রমিক দিয়ে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে যেমন তার আয়ের পথ বের হবে তেমনি তাদের ব্যবসা পরিচালনা অভিজ্ঞতা বাড়বে যা দিয়ে পরবর্তীতে বড় ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।

হিশাম আল খামিছ একজন তরুণ বেকার সৌদি নাগরিক। তিনি বলেন, “ক্ষদ্র ব্যবসাকে সৌদিকরণের আওতায় রাখা অত্যন্ত লজ্জার। ক্যাফেটরিয়া বা মুদি দোকানে সামান্য মাসিক বেতনে কাজকে সৌদি তরুণ বেকার যুবকরা প্রত্যাখান করবে। ”

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীরা তাদের কফিলের(নিয়োগ কর্তা) ব্যবসা পরিচালনা করে সমোদয় খরচ বাদ দিয়ে মালিককে যে অর্থ মালিককে দিতেন সেটা থেকে সরকারকেও একতা অংশ দেয়ার কথা চিন্তা করা যেতে পারে বলেও মত দেন।

উল্লেখ্য, প্রবাসীদের একটি বিশাল অংশ তাদের কফিল (নিয়োগ কর্তা)র নামে অথবা অন্য সৌদি নাগরিকের নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা পরিচালনা করে আসছিল। নতুন এই আইনের ফলে প্রবাসী এবং সৌদি নাগরিক দুপক্ষই সম্যায় পড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।