ঢাকা: বোস্টন হামলায় জড়িত সন্দেহে আটক তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকাজে মিথ্যা তথ্য ও ন্যায়বিচার রোধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন আজমাত তাজাইয়াকুভ, দিয়াস কাদিবিয়েভ ও রবেল ফিলিপ। আজমাত ও দিয়াস কাজাকাস্তানের নাগরিক। আর রবেল ফিলিপ হলেন মার্কিন নাগরিক।
পুলিশ জানায়, জোখার সারনায়েভের (১৯) কাছ থেকে ল্যাপটপ এবং ব্যাকপ্যাক চু্রি করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে, আটক তিনজনের কেউই বোস্টন হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয় বলে জানায় পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, আজমাত ও দিয়াসের বিরুদ্ধে বোস্টন হামলার প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া রবেলের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার আভিযোগ আনা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র পক্ষ থেকে বলা হয়, চুরি হওয়া জোখারের ব্যাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে আজমাত ও দিয়াসের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা হবে। অপর ব্যক্তি রবেলের একই পরিমাণ জরিমানাসহ সর্বোচ্চ আট বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আজমাত ও দিয়াস ঘটনার তিনদিন পর জোখারের ইউনির্ভাসিটি অব ম্যাসাচুসেটসের কক্ষ থেকে প্রমাণপত্র সরিয়ে ফেলেন।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, এফবিআই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ছবি প্রকাশ করলে দিয়াস একজনকে পরিচিত মনে হচ্ছে বলে জোখারকে একটি টেক্সট পাঠায়। উত্তরে জোখার বলেন, আমাকে কোন কিছু না লেখাই ভালো।
অভিযোগে বলা হয়, জোখার দিয়াসকে জানান, আমি চলে যাচ্ছি, আমার কক্ষে তোমার প্রয়োজনীয় কিছু থাকলে নিয়ে যেতে পার।
এ বিষয়ে দিয়াসের আইনজীবী বলেন, এফবিআই থেকে প্রকাশিত ছবির ব্যক্তি যে জোখার তা তার মক্কেল বুঝতে পারেননি এবং ওই ব্যাকপ্যাকে যে বিভিন্ন প্রমাণাদি ছিলো তাও তিনি জানতেন না।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৩
সম্পাদনা: জনি সাহা ও হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর