ঢাকা: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাবেক প্রধান বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলার বিশেষ কৌঁসুলি চৌধুরী জুলফিকার আলীকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। দেশটির পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামাবাদের জি-৯ এলাকায় মোটর সাইকেল আরোহী অজ্ঞাত দুই বন্দুকধারী তার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় একজন নারীও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী রেহমান আলী।
কৌঁসুলি চোধুরী জুলফিকারকে অনেকদিন ধরেই হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল উল্লেখ করে রেহমান জানান, বন্দুকধারীরা শুধুমাত্র তাকে মারার জন্যই এসেছিল।
মৃত্যুর পর তার লাশ ইসলামামাবাদের পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (পিআইএমএস) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানান, জুলফিকারের বুকে ও কাঁধে দশটি বুলেটের আঘাত রয়েছে। ঘটনাস্থলকে ‘সংরক্ষিত’ এলাকা ঘোষণা করে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাওয়ালপিণ্ডিতে বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলা সংক্রান্ত সন্ত্রাস-বিরোধী আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল চৌধুরী জুলফিকারের।
এদিকে এ ঘটনার পর রাওয়ালপিণ্ডি এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটা তারকা ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান বেনজির ভুট্টোর হত্যার বিষয়ে বলেছিলেন, তালেবানরা বেনজিরকে হত্যা করেনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, “বেনজির পুনরায় ক্ষমতায় আসছেন এ নিয়ে যারা চিন্তিত ছিলেন তারাই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করেছেন এ ব্যাপারটি পরিষ্কার। ”
তবে যেটা দাবি করছেন তার পক্ষে কোনো অকাট্য প্রমাণ আছে কিনা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি ইমরান।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৩
সম্পাদনা: জনি সাহা ও হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর