ব্যাংকক: থাইল্যান্ড সরকার রাজধানি ব্যাংকক সহ ১৯ টি প্রদেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নতুন করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কার কারণে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এর আগে, তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর অন্য ৫ টি প্রদেশ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়। এ বছরের শুরুতে ব্যাপক সরকার বিরোধী আন্দোলনে ৯০ জন মারা যাওয়ার পর এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
সেন্টার ফর রেজোলুশন অফ ইমারজেন্সী সিচুয়েশেন্স (সিআরইএস) মন্ত্রীপরিষদকে এ জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছে। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল ও মে মাসে সরকারবিরোধীদের তথাকথিত লাল-শার্ট আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য সিআরইএস গঠন করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখা, পুলিশ এবং মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে সিআরইএস নামের এই কমিটিটি গঠিত হয়েছে।
সিআরইএস এর মুখপাত্র কর্ণেল সানসের্ন কেইকামনার্ড বলেন, আমাদের বিশ্বাস সরকারবিরোধীদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র আছে যা এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। “কাজেই জরুরী অবস্থার অধ্যাদেশ জারি থাকলে তা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। ”
জরুরী অবস্থা চলাকালীন ৫ জনের বেশি লোক এক জায়গায় একত্রিত হওয়া নিষিদ্ধ। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী যে কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিনা অভিযোগে ৩০ দিন পর্যন্ত আটক রাখতে পারবে।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলি এ জরুরী অবস্থাকে “নির্মম” আইন বলে মন্তব্য করে তা এখনই প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
জরুরী অবস্থা জারি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চারশোর ও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫.১১, জুলাই ৬, ২০০৭