ঢাকা, রবিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

নিলামে উঠছে গান্ধীজির রক্তের ফোঁটা

কলকাতা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৫, মে ৪, ২০১৩
নিলামে উঠছে গান্ধীজির রক্তের ফোঁটা

কলকাতা: নিলামে তো কত জিনিসই ওঠে কিন্তু তাই বলে রক্তের ফোঁটা? ঠিক এই ব্যাপারই ঘটাতে চলেছে লন্ডনের নিলাম-সংস্থা মুলক্স-এ। তাদেরই সৌজন্যে আগামী ২১ মে নিলামে উঠতে চলেছে মহাত্মা গান্ধীর এক ফোঁটা রক্ত।



১৯২৪ সালে গান্ধীর অ্যাপেন্ডিসাইটিস অস্ত্রোপচার হওয়ার পর তিনি শ্রীমতি সুমতি মোরারজিকে ওই রক্তবিন্দু দান করেন। ভারতীয় জাহাজ মালিকদের সংগঠনের প্রধান ছিলেন সুমতি। রক্তবিন্দুটি এখন একটি ছোট স্লাইডে সংরক্ষিত।

নিলাম কর্তাদের ধারণা, গান্ধীর রক্তের দাম উঠবে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা।
রক্তবিন্দুর পাশাপাশি ওই নিলামে উঠবে গান্ধী সম্পর্কিত আরও ৪৯টি সামগ্রী।

তার মধ্যে রয়েছে- মহাত্মার ব্যবহূত একটি জপের মালা, একটি উইল, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সংক্রান্ত একটি নথি এবং রামায়ণের একটি সংস্করণ।

মুলক্সের ঐতিহাসিক নথি বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ওয়েস্টউড ব্রুক্স বলেন, `এখনও পর্যন্ত গান্ধী সম্পর্কিত যে সব সামগ্রী নিলামে উঠেছে, আমাদের এবারের সংগ্রহ তার মধ্যে সব থেকে বড়।

সারা বিশ্ব থেকে এগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের আশা, এগুলির নিলাম করে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। `

মুলক্সের এবারের সংগ্রহে আরো রয়েছে- গান্ধীর ব্যবহূত চামড়ার চপ্পল, তাঁর প্রিয় শাল, বিছানার চাদর, খাওয়ার বাটি, চামচ ও জল খাওয়ার কাপ এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি।

ব্রুক্সের কথায়, `যে তিনটি বাঁদরের মূর্তির মাধ্যমে গান্ধী তাঁর সংযমের দর্শন সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করতেন, সেগুলিও থাকবে আসন্ন নিলামের সম্ভারে। ` ১৯৩২ সালে গান্ধীর আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাঁকে `সন্ত্রাসবাদী` আখ্যা দিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়। সেই নথিটিও স্থান পাবে মুলক্সের সম্ভারে।

সংশ্লিষ্ট পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিতে মোট ৪টি পৃষ্ঠা রয়েছে। ১৯২০ সালের নিজের এক ছেলের উদ্দেশ্যে বানানো এই নথিতে গান্ধী নিজে সই করেন। তাতে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ও ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার স্ট্যাম্প এবং আহমেদাবাদের সাব-রেজিস্ট্রারের সিলমোহর রয়েছে।


নিলাম সংস্থার আশা, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৩৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হবে এই ঐতিহাসিক নথি।

বাংলাদেশ সময় : ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৩
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।