দিয়ারবাকির: তুরস্কে কুর্দি বিদ্রোহীদের হামলায় সেনা বাহিনীর তিন সদস্য ও জঙ্গিদের জন ১০ নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের সেনা ছাউনিতে হামলার ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
হাক্কানি প্রদেশের গভর্নরের অফিস থেকে জানানো হয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) জঙ্গীরা সেনা ছাউনিতে হামলা চালালে সোমবার রাতে দুই পক্ষে লড়াই শুরু হয়। হাক্কারি প্রদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে ইরান ও ইরাকের সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
পিকেকে তুরস্ক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তালিকায় একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠনের নেতা আবদুল্লাহ ওসালান-এর কারাদণ্ড হলে সংগঠনটির সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যায়। গত মে মাসে আঙ্কারার সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করার চেষ্টা করা হলে ওসালান তার আইনজীবীর মাধ্যমে তা নাকচ করে দেন।
বার্তাসংস্থা আনাতোলিয়া জানায়, সোমবার রাতে সেনা বাহিনী ও জঙ্গিদের সংঘর্ষে তিন জন সেনা সদস্য নিহত হন। এছাড়া নয় জন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
বার্তাসংস্থাটি আরো জানায়, সেনা বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ইলকার বাসবুগ বলেন, ইরাকের উত্তরাঞ্চল কুর্দি জঙ্গিদের স্বর্গ। ইরাকের কুর্দি জনগোষ্ঠীর এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত এলাকা। এখান থেকেই জঙ্গিরা কার্যক্রম চালায়। এই অঞ্চলকেই তিনি তুরস্কের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন।
তিনি আরো বলেন, ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনী চলে গেলে সেখানে পিকেকে হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, ইরাকের উত্তরে পিকেকে’র অবস্থান ইরাক-তুরস্ক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এই অর্থে মার্কিন-তুরস্কের সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র পিকেকে’র বিরুদ্ধে সমর্থন তৈরির আহ্বান জানিয়েছে। বিদ্রোহীদের সম্পর্কে ন্যাটো বাহিনীকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।
পিকেকে’র সঙ্গে সংলাপ নাকচ করে দিয়েছে আঙ্কারা। সেনা বাহিনী জানিয়েছে, জঙ্গিদের হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা সেনা বাহিনীর মুখোমুখি হতে হবে। ১৯৮৪ সালে পিকেকে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। এরপর থেকে বিভিন্ন সংঘর্ষে ৪৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১০