কলকাতা: খাদ্য নিরাপত্তা বিল নিয়ে সংসদে আলোচনায় বাধা দেওয়ায় বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, সংসদের অধিবেশন বানচাল না করে বিরোধীদের উচিত, সেই বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া।
এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকারও সমালোচনা করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। এদিন হইচই বাঁধিয়ে সংসদে খাদ্য নিরাপত্তা বিল নিয়ে আলোচনাই করতে দেয়নি বিরোধীপক্ষ। কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে তুমুল হইচইয়ের মধ্যেই সংসদে খাদ্য নিরাপত্তা বিল নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় সরকার পক্ষ।
সংসদ যখন বিরোধী বিক্ষোভের জেরে অচল, তখন এভাবে খাদ্য নিরাপত্তা বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব সরকারের এক নায়কতান্ত্রিক মনোভাবের পরিচয়। এই অভিযোগে হইচই বাঁধিয়ে দেন ডান-বাম উভয়পক্ষই। বিরোধীদের এই ভূমিকার সমালোচনা করেছেন অমর্ত্য সেন।
এ প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, “কোনো কোনো বিষয়ে বিরোধীদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থাকতেই পারে। কিন্তু সংসদের অধিবেশন ভণ্ডুল না করে বিরোধীদের উচিত এবিষয়ে বিতর্কে অংশ নেওয়া। অথচ বিরোধীরা সংসদে যুক্তিকেই হত্যা করছেন। ”
সংসদীয় বিতর্ক ভণ্ডুল করে দিতে যদি বিরোধীরা সফল হয়, তাহলে তার দায় বিরোধীদেরই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিকমত আলোচনা না হওয়ার বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে ধরতে না পারায় সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে নোবেলজীয় অর্থনীতিবিদের বক্তব্য, এই বিল পাস হলে রেশনের মাধ্যমে গরীব মানুষের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছাবে। তাঁর পরামর্শ, কেন সরকার এ নিয়ে অর্ডিন্যান্স আনতে চাইছে তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা উচিত সংবাদমাধ্যমগুলোর।
তবে কয়লা কেলেঙ্কারি ও রেল ঘুষকাণ্ড থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতেই খাদ্য নিরাপত্তা বিল সংসদে পেশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর যুক্তি বিরোধী দলগুলি এই বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ সময় ১৬০৫ মে ০৭, ২০১৩
সম্পাদনা: তানিম কবির, নিউজরুম এডিটর, এসএস