কলকাতা: এবার চিট ফান্ডের বিরুদ্ধে সরব-হলেন বিশিষ্ট লেখিকা ও সমাজকর্মী মহাশ্বেতা দেবী। জানিয়ে দিলেন, চিট ফান্ড ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
আদিবাসীদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার কসবায় নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি চিট ফান্ডের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেন।
আদিবাসীদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হলেও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লেখিকাকে বারবার চিট ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চিট ফান্ড কাণ্ডের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আপনার মত কী? উত্তরে মহাশ্বেতাদেবী বলেন, “চিট ফান্ডের মতো ভয়ঙ্কর সমস্যার সমাধান যদি সিবিআই করতে পারে, তাহলে তো ভালোই। ”
এদিন গোটা দেশ জুড়ে আদিবাসীদের উপর হওয়া রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে একজোট হয়ে কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে।
মহাশ্বেতাদেবী জানান, মধ্য ও পূর্ব ভারতের আদিবাসী-অধ্যুষিত অঞ্চলে হাজার হাজার আদিবাসী মানুষ জেলবন্দি হয়ে আছেন। ‘নকশাল’ ও ‘মাওবাদী’ সন্দেহে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে পাঁচ হাজার, ছত্তিশগড়ে ২ হাজারেরও বেশি আদিবাসী জেলে বন্দি।
কোনও বিচার পাচ্ছেন না তাঁরা। অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র. ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গেও আদিবাসীরা ‘বিশেষ নিরাপত্তা আইনে’ গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছেন।
মহাশ্বেতা দেবীর মতে, “এই সব বিচারাধীন বাসিন্দা সঠিক বিচার পাচ্ছেন না। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে নকশাল-মাওবাদী সন্দেহে ধৃতদের তাড়াতাড়ি আদালতে তোলা হয় না। সঠিকভাবে আইনি সাহায্য পান না।
মহাশ্বেতা দেবী জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর আমল থেকেই তাঁরা আদিবাসীদের উন্নয়ন, জঙ্গলমহল থেকে যৌথবাহিনী প্রত্যাহার করা, আদিবাসী বন্দিদের মুক্তি, আদিবাসীদের জন্য সেচের ও খাবার পানি, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের দাবি জানিয়ে আসছেন। এই সরকারের আমলে সেই দাবিও করছেন।
মহাশ্বেতাদেবী বলেন, “এই নিয়ে প্রয়োজনে আমরা নতুন সরকারকে স্মারকলিপি দেব। ”
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, ছোটন দাস, বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সাবেক অধিকর্তা মেহের ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ মে ০৭, ২০১৩
শেখর বৈদ্য/সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর, এসএস