কলকাতা: দখিনা বাতাসে স্বস্তি পেল সংকটে থাকা কংগ্রেস। এই মুহূর্তে কয়লাখনি বন্টনে সিবিআই-এর হলফনামাসহ রেলে ঘুষকাণ্ড নিয়ে প্রায় অস্থির কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিল কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল।
অপরদিকে, এই ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা দখল করল কংগ্রেস। ভারতের দক্ষিণের একমাত্র দূর্গই যে শুধু হাতছাড়া হল তাই নয়, আসন তালিকায় তিন নম্বরে নেমে যেতে হল বিজেপিকে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল এইচ ডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন জেডিএস।
বিজেপি ছেড়ে নতুন দল গড়া সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা থেকে মুখ ফেরাল আমজনতা। তবে তাঁর দল কেজেপি থাবা বসিয়েছে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনার প্রবণতা অনুযায়ী কংগ্রেস এককভাবে ১১৮টি আসনে জয়ী হয়। রাজ্য ক্ষমতায় থাকা বিজেপি পায় ৪০টি আসন, জেডিপি ৩৮, কেজেপি ৮ ও অন্যান্য ১৭টি আসন লাভ করে।
উল্লেখ্য, ৫ মে ভোটের পর বুথ ফেরত সমীক্ষায় পূর্বাভাস মিলেছিল যে, দক্ষিণের একমাত্র রাজ্যপাট সম্ভবত হাত ছাড়াই হতে চলেছে বিজেপির। এই পূর্বাভাস যে ঠিক- তা এদিন গণনার শুরু থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। গত বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ছিল ৮০। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের দরকার ছিল ১১৩টি।
অপরদিকে, শাসক দল বিজেপির আসন সংখ্যা ১১০ থেকে এক ধাক্কায় ৪০ আসনে নেমে এসেছে। সবমিলিয়ে ৯ বছর পর রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরলো কংগ্রেস।
ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী বলেন, “আমি এই জয়ে খুশি। ”
কর্ণাটনে কংগ্রেসের জয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, “কঠিন লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেসকে অভিনন্দন। বিজেপির দুর্নীতির জন্য মানুষ তাঁদের রায় দিয়েছে। ” দুর্নীতি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর, এসএস