ঢাকা: ফ্রান্সের অর্থনীতি ফের মন্দায় পড়েছে। দেশটির জিডিপি বছরের প্রথম তিন মাসে কমেছে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ।
টানা ছয় মাস (তিন মাস+তিন মাস) প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হলে কোনো দেশের অর্থনীতি মন্দায় পড়েছে বলে মনে করা হয়। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ২০১৩ সালের প্রথম তিন মাসের অর্থনৈতিক চিত্র তুলে প্রকাশ করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০০৯ সালে মন্দায় পরে ফ্রান্স। এ মন্দা ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের মন্দায় ইউরোজোনভুক্ত দেশটি। শুধু যে ফ্রান্সই মন্দায় পড়েছে তা নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান বিষয়ক কার্যালয় ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ১৭ দেশের সংঘ ইউরোজোনে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৯টি দেশে এখন মন্দা বিরাজ করছে।
ফ্রান্সে বেকারত্বের হার রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছেছে। দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যে নিম্নগতি এবং ভোক্তাদের আস্থাও কমেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বার্ষিকীতে মন্দায় পড়ল ফ্রান্স। ওলাঁদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও বেকারত্ব কমানোর বিষয়টি ছিল।
ফ্রান্সে বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী বছরে এ হার বাড়তে পারে। তবে ইউরোজোনের গড় বেকারত্বের হারে তুলনায় ফ্রান্সের বেকারত্ব কম। ২০১২ সালে ইউরোজেনের বেকারত্বের হার ছিল ১১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং চলতি বছর এ হার ১২ দশমিক ২ দুই শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রিস ও স্পেনে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। দেশ দু’টিতে এ হার ২৭ শতাংশ।
বেকারত্ব রোধে চলতি সপ্তাহে দেশের শ্রম আইন সংশোধন করেছে ফ্রান্স। এসব সংশোধনের মধ্যে রয়েছে শ্রমিকরা সহজে চাকরি পরিবর্তন করতে পারবে এবং কোম্পানিগুলো সহজে কর্মীদের ছাঁটাই করতে পারবে।
এ মাসের শুরুতে ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) সতর্ক করে দিয়েছিল যে ফ্রান্স চলতি বছরেই মন্দায় পড়তে পারে। ইসির আশঙ্কা ফ্রান্সের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এ বছর শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমে যাবে।
অন্যদিকে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ইউরোজোনের শক্তিশালী অর্থনীতির এ দেশটির প্রবৃদ্ধি বছরের প্রথম তিন মাসে বেড়েছে শূন্য দশমিক এক শতাংশ।
তবে জার্মানির অর্থনীতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে এক দশমিক ৪ শতাংশ। নিম্নগতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণ হিসেব প্রচণ্ড শীতকে দায়ী করা হয়েছে।
জার্মান সরকারের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জার্মানের অর্থনীতি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে। এই দুর্বল অগ্রগতির জন্য দায়ী প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়া। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com