ঢাকা: পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বিচার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের করা যাবে না বলে পরামর্শ দিয়েছে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় বিচারকদের বরখাস্ত ও আটক করার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি।
বুধবার পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো এ নিয়ে খবর জানিয়েছে বলে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসলামাবাদের উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরিসহ ডজন সংখ্যক বিচারকে আটক করার ঘটনায় মোশাররফের বিচার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া উচিত। এ নির্দেশের পরেই গত এপ্রিলে মোশাররফকে গ্রেফতার করে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ।
১৮ এপ্রিল ওই আদালত মোশাররফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারের পর তাকে ১৪ দিনের বিচারিক রিমান্ডে দেয় বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী আদালত।
১৮ এপ্রিলে আদালত থেকে পালানোর বিষয়ে মোশাররফ যৌথ তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তিনি আইনজীবীর পরামর্শে ইসলামাবাদের আদালত থেকে পালিয়েছেন।
বিচারকদের আটক করার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো নির্দেশনা জারি করেননি।
মোশাররফ তদন্তকারীদের বলেছেন, এ ব্যাপারে বিচারকরা অভিযোগ করেনি বা তারা কোনো এজাহারও দায়ের করেনি। মোশাররফ দাবি করেন, দুই বছর পর এক তৃতীয় ব্যক্তি (এক আইনজীবী) একটি মামলার এজাহার দায়ের করে যখন আমি বিদেশে ছিলাম। ২০১৩ সালে বিষয়টি আমি জানতে পারি। ”
বিচারের ক্ষেত্রে দেশে বা দেশের বাইরের কোনো বন্ধুর সহায়তা তিনি আশা করেন কিনা এমন প্রশ্নে তদন্তকারীদের তিনি জানান, তিনি এ ধরণের সহায়তার আশা করেন না। তিনি শুধু ন্যায় বিচার চান।
ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে মোশাররফের। তদন্ত কমিটি ইসলামাবাদ পুলিশের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com