ঢাকা: পাকিস্তান জুড়ে সাধারণ নির্বাচনে অন্তত ৪৯ ভোট কেন্দ্রে অবিশ্বাস্যভাবে ১০০ শতাংশের চেয়েও বেশি ভোট পড়েছে! ফেয়ার এ্যান্ড ফ্রি ইলেকশন নেটওয়ার্ক (এফএএফইএন) নামের একটি পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
পাকিস্তান জুড়ে আট হাজার ১১৯টি ভোট কেন্দ্র যাছাই করে ওই ৪৯টি ভোট কেন্দ্রে জালিয়াতির বিষয়টি ধরেছে এফএএফইএন।
এফএএফইএনের তথ্যের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে, নিবন্ধিত ভোটারদের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ার পরও পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচির কমপক্ষে পাঁচটি ভোট কেন্দ্রে ভোট পড়েছে।
এফএএফইএনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করাচির ওরাঙ্গি শহরের দুটি ভোট কেন্দ্রের নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা যথাক্রমে এক হাজার ৩৪৯ ও এক হাজার ২৩০ জন। কিন্তু এ দুটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে দুই হাজার ৫০৮ ও এক হাজার ৪৮৪টি।
অনিয়ম চোখে পড়ায় এফএএফইএন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে কোনো আসনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করার আগে নিজস্ব ওয়েবসাইটে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলোর বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য করাচিতে এফএএফইএনের নয় শতাধিক ও পাকিস্তানজুড়ে ৪১ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক কাজ করেছে।
করাচিতে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়ার পর ৪৩টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
ইসিপি’র সচিব ইশতিয়াক আহমেদ বলেছেন, “যেখানে আমরা ভোট জালিয়াতি আর অনিয়মের প্রমাণ পাব সেখানে পুনরায় ভোট হবে। ”
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অভিযোগ, ১১ মের নির্বাচনে যেসব আসনে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন জয় পেয়েছে সেগুলোর বেশ কিছু আসনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: আশুরা জামান ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com