কলকাতা : দার্জিলিংয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের ঢালাও ঘোষণা দিলেন। বুধবার সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনিই।
বুধবার দুপুরেই দার্জিলিংয়ে ম্যালের লাগো গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস ও আরও উন্নয়নের নতুন বার্তা দেন তিনি।
তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই জনসভাকে ঘিরে সাধারণ পাহাড়বাসী, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থক ও সর্বোপরি পাহাড়ে উপস্থিত বাঙালি পর্যটকদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।
পাহাড়ের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস আর ভরসা তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে দ্রুত বদলে যাচ্ছে পাহাড়বাসীর রাজনৈতিক সমর্থনের অভিমুখ। দ্রুত বাড়ছে তৃণমূলের সংগঠনও।
উল্লেখ্য, রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে পাহাড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি তার পূর্ণতা দিয়েছেন।
বাম জমানার অশান্ত পাহাড়ে শুধু শান্তি ফেরানোই নয়, উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে চার বছরে ১৫ বার শুধু দার্জিলিংয়েই গিয়েছেন। যাঁর হাত ধরে পাহাড়ে ফিরেছে শান্তি। চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ।
সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবারই পাহাড়ে গিয়েছেন ততবার খুশীর মেজাজে মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন তাঁকে। এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি।
একদিকে তাঁকে ঘিরে ছিল মানুষের উৎসব অন্যদিকে, তৃণমূলের সংগঠন যে দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে পাহাড়ে তার ছবিও দেখা গিয়েছে।
বুধবার বিকেলের অনুষ্ঠানে পার্বত্য বিষয়ক দফতরের প্রদর্শনী, কালিম্পংয়ে তাশি ডিং ট্যুরিস্ট লজ, দার্জিলিংয়ে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান, গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনের আধুনিক প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিরিকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও পলিটেকনিক কলেজ, কালিম্পং, মংপু, গরুবাথানে আইটিআইসহ একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ১৯২৯ ঘন্টা, মে ১৫, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: এসএস