বেইজিং: অনেক জল্পনা কল্পনার পর এবার বাস্তবিকই দেশীয় শান্তি পুরস্কারের প্রবর্তন করতে যাচ্ছে চীন। আর বৃহস্পতিবার শান্তিতে পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত করবে দেশটি।
শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নোবেল কমিটি। এর একদিন আগে চীন ওই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করে।
এবারের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী চীনেরই ভিন্নমতাবলম্বী লিউ জিয়াওবোকে সম্মানিত করতে যাচ্ছে এ কমিটি যা ুব্দ করেছে চীনকে।
চীনের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা সূত্রে দেশটির নিজস্ব শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের বিষয়টি জানা যায়। মূলত লিউকে নির্বাচিত করার বিরুদ্ধাচারণ করে ‘কনফুসিয়াস শান্তি পুরস্কার’ নামের এ পুরস্কারের প্রচলন করা হচ্ছে বলেও জানা যায়।
এদিকে মঙ্গলবার পুরস্কার কমিটি প্রেরিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এপি। এতে বলা হয়, ‘পুরস্কারে বিখ্যাত দার্শনিকের নাম মূলত চীনের জনগণের শান্তি বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টিই ব্যাখ্যা করবে। ’
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এ পুরস্কারটি পাবেন তাইওয়ানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ন্যাশনাল পার্টির সম্মানিত চেয়ারম্যান লিয়েন চ্যান। তার তাইপেই এর কার্যালয়ের এক কর্মচারী বলেন, ‘চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ’ তবে পুরস্কার বিষয়ে কিছুই না জানার কারণে এ বিষয়ে মঙ্গলবার কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন তিনি।
এদিকে বিশ্বের অন্তত ১৮টি দেশকে নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠান বর্জনে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে চীন। এর মধ্যে দেশটির একসময়ের মিত্র দেশ পাকিস্তানসহ আরও আছে ভেনেজুয়েলা, কিউবা এবং বাণিজ্যিক অংশীদার সৌদি আরব ও ইরান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১০