ব্যাংকক: এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মত নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে থাইল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দল। এর মধ্য দিয়ে দলটির প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজাজিভার আগামী বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
২০০৫ সালের জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণার সময় থাইল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো এ দলটিকে অবৈধভাবে লাখ লাখ ডলার অনুদান দেওয়ার অভিযোগ আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই দলটির উপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি হয়।
কিন্তু বৈধ প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে সাংবিধানিক আদালতে ৪-৩ ভোটে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
তবে দোষী সাব্যস্ত হলে দলের উচ্চ পদস্থ নেতাদের ৫ বছরের রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ দলটিকে বিলুপ্ত করার ক্ষমতা আদালতের আছে।
একইসঙ্গে ২০০৫ সালের নির্বাচনে আরও ৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয় দলটির বিরুদ্ধে। কিন্তু একই কারণ দেখিয়ে ২৯ নভেম্বর একই আদালতে এ মামলাটিও খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে অভিজিতের সরকার অগণতান্ত্রিক বলে অভিযোগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক লাল জামাধারীরা। একইসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনেরও আবেদন করে বিক্ষোভকারীরা।
তবে এ দাবি নাকচ করে দিয়ে ২০১১ সালে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার করেন অভিজিৎ।
কিন্তু এ সিদ্ধান্ত ক্ষুব্দ করে লাল জামাধারীদের। বিক্ষোভকারীদের অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান থাইদা থ্যার্ভোনসেথ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত থাই জনগণকে ক্ষুব্দ করেছে এবং নিশ্চিতভাবে এটা অসম বিচার। ’
দুই বছর আগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মিত্রদের উচ্ছেদের আদালতের নির্দেশের পর সংসদীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে অভিজিতের ডেমোক্রেট দল।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১০