বেইজিং: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। এতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী চীনের লিউ জিয়াওবো’র বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু দুই মাস আগে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হওয়ার পর থেকে এর বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করে চীন। চলতি সপ্তাহে ‘চীনকে উপহাসের জন্য লিউকে এ পুরস্কার দেওয়া’ এবং এর আয়োজকদের ‘ভাঁড়’ বলে মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।
একইসঙ্গে লিউকে সম্মানিত করা ‘একটি অত্যুৎসাহী কাজ’, ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ এবং ‘কিছু সংস্কারপন্থীর নিজেদের বিনোদিত করার একটি চালাকি’ বলে বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে কমিউনিস্ট পার্টির ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কূটনীতিক প্রেরণ করে ওসলোর আসন্ন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জনের আহ্বান জানায় চীন। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া দেশ চীনের কালো তালিকাভুক্ত হবে বলেও সতর্ক করে দেয় দেশটি। একইসঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বাতিলের মধ্য দিয়ে নরওয়েকে শাস্তি দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছে চীন।
এছাড়া নোবেল পুরস্কার মূলত বেইজিংকে অস্বস্তিতে ফেলার যুক্তরাষ্ট্রের একটি চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন চীনের রাষ্ট্রীয় আইনজীবী দাই বিঙ্গু। গত মাসে চীনের দ্বীপ হ্যাইনানে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী পরারষ্ট্র নীতি বিষয়ক ব্যক্তিত্ব বিঙ্গু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটনকে এ কথা বলেন।
একইসঙ্গে মঙ্গলবার ‘কনফুসিয়াস শান্তি পুরস্কার’ নামে নোবেল বিরোধী পুরস্কার ঘোষণা করে বেইজিং। এদিকে চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র মিয়ানমারসহ উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও ফিলিপাইন শুক্রবার নোবেল পুরস্কার বর্জনের ঘোষণা দেয়।
বুধবার কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে ফিলিপাইন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয় যে দেশটি চীনকে ুব্দ করতে না চাওয়ার কারণেই এ অনুষ্ঠান বর্জন করে।
এদিকে কারারুদ্ধ লিউর ‘চার্টার ০৮’ অনেক বেশি সংস্কারবাদী এবং চীনের জন্য বড় হুমকী বলেই তার পুরস্কার প্রাপ্তি চীনকে ুব্দ করেছে বলে বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১০