কানকুন: জলবায়ু আলোচকদের দু’টি খসড়া চূড়ান্ত করা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। প্রায় দুই শতাধিক দেশ কিয়োটো প্রটোকল ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘমেয়াদী কার্যপ্রণালী নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত শনিবার এ তথ্য জানায়।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আরও ১৯৩টি দেশের ওই দুটি খসড়া গ্রহণ করতে হবে বলে পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ জানান। একইসঙ্গে এ ফলাফল ভারত গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি কানকুন চুক্তিতে পৌঁছেছি। ‘বেসিক’ (ইঅঝওঈ বা জি৪) দেশগুলো এতে খুবই উচ্ছ্বাসিত। ‘ মূলত ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং চীনের মত চারটি বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ নিয়ে ‘বেসিক’ গঠিত। ২০০৯ সালের ২৮ নভেম্বর একটি চুক্তির মধ্য দিয়ে জি৪ গঠনে সম্মত হয় দেশগুলো।
তবে চীন ও জাপান কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় মেয়াদে সম্মত না হওয়ায় গত দুই সপ্তাহ থেকে তা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এটাই জলবায়ু বিষয়ক একমাত্র চুক্তি যা উন্নত দেশগুলোকে আইনগতভাবে একত্রিত করে রেখেছে।
উন্নয়নশীল বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কিয়োটো প্রটোকলের নিশ্চয়তার জন্য খসড়া চুক্তি করতে এবং চীন ও রাশিয়াকে বাধ্য না করতে গত কয়েকদিন আলোচকদের রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়।
২০১২ সালে শেষ হয়ে যাবে কিয়োটো প্রটোকলের প্রথম দফার মেয়াদ। এ চুক্তি অনুযায়ী শিল্পায়িত দেশগুলোকে ১৯৯০ সালের তুলনায় গ্রীণহাউস গ্যাসের পরিমাণ ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর কথা বলা হয়।
মূলত প্রথম ও দ্বিতীয় দফার চুক্তির মেয়াদে কোনো ব্যবধান না রাখার জন্যই এ খসড়া দুটি করা হয়।
তবে পর্যবেক্ষরা বিভিন্নভাবে এ খসড়ার ব্যাখ্যা করছেন। এক দল একে ‘দুর্বল’ বলছে যা পরিণামে কিয়োটো প্রটকলকে ব্যর্থ করবে। অন্যদিকে একে ‘কিছু সময়ের জন্য কার্যকরী মীমাংসা’ বলে উল্লেখ করছে আরেক দল।
তবে পর্যবেক্ষকরা এও বলছেন যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ খসড়া দুটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ হলেও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে তা সত্যিকার অর্থে কোনো ভূমিকা রাখবেনা এবং একইসঙ্গে এ চুক্তি মূল চাহিদার সঙ্গে পুরোপুরিভাবে সঙ্গতিপূর্ণও নয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১০