সিঙ্গাপুর: মালয়েশিয়ার বিরোধী দলের নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম সমকামী বলে বিশ্বাস করেন সিঙ্গাপুরের নেতারা। আনোয়ার তার শত্রুদের ফাঁদে পড়ে এক পুরুষ সহকারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার পরিপ্রেক্ষিতে নেতাদের মনে এ ধারণা জন্মায় বলে উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোপন নথি সূত্রে জানা যায়।
২০০৮ সালের নভেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন এক তারবার্তায় বলা হয়, ‘অস্ট্রেলীয়রা বলে যে সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দা সংস্থা এবং (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) লি কুয়ান ইয়ু ওএনএ’র (অফিস অব ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্টস) সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের সময় বলেন যে বর্তমানের ধারণা অনুযায়ী বিরাধী দলের নেতা আনোয়ার এ ধরনের কাজ করে থাকতে পারেন। ’
বার্তায় আরও বলা হয়, ‘ওএনএ বিষয়টি মূল্যায়ন করে এবং সিঙ্গাপুর এতে সম্মতি জানিয়ে বলে ‘এটি ছিলো একটি ফাঁদ এবং সে সম্ভবত এটা জানতো, তারপরও সে কাজটি করে। ’
তবে তার সহকারী মোহাম্মদ সাইফুল বুখারি অ্যাজলেনের (২৫) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন আনোয়ার (৬৩)। একইসঙ্গে তিনি রাজনৈতিক দুনীর্তির শিকার বলেও অভিযোগ করেন।
তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কেননা মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়ায় এটি ভয়াবহ এক অপরাধ।
এদিকে আনোয়ারের পিপলস জাস্টিস পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট তিয়ান চুয়া একে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এটি একটি বানোয়াট অভিযোগ। যদি এ অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে সরকারের পক্ষে তা প্রমাণ করা তুলনামূলক সহজ। ’
‘বিদেশি গোয়েন্দাদের উপর আমরা নির্ভর করতে পারিনা। প্রশ্ন হচ্ছে আনোয়ারকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার মত তথ্য প্রমাণ আছে কিনা। ’
এদিকে এ অভিযোগ ‘আইনের প্রতারণা’ উল্লেখ করে মালয়েশিয়াকে আনোয়ারের বিরুদ্ধে এ মামলা বাতিল করার আহ্বান জানায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এর আগে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারকে আলাদা একটি ঘটনায় সমকামিতা ও দুনীর্তির অভিযোগে বরখাস্ত ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কিন্তু একসময় তার সমকামীতার অভিযোগটি পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয় এবং ছয় বছর কারাভোগের পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পর দলের প্রধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০