জেরুজালেম: ফিলিস্তিনিদের অতিরিক্ত তাড়াহুড়োর মধ্যে চূড়ান্ত কোনো আলোচনায় বসবে না ইসরায়েল। নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে মার্কিন চাপের মুখে রোববার ইসরায়েলের এক আইনপ্রণেতা এ মন্তব্য করেন।
পরিবেশমন্ত্রী গিলাদ এর্দেন ইসরায়েলের সরকারি বেতারে বলেন, ‘এটা যেমন যৌক্তিক নয় তেমনি হাতে স্টপওয়াচ নিয়ে আলোচনায় বসতেও ইসরায়েল আগ্রহী নয়। ’
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিশ্বস্থ এর্দেন বলেন, ‘এ আলোচনা ইসরায়েলের অস্তিত্ত্ব ও ভবিষ্যতের জন্য হুমকী নয়, কেবল এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তা শুরুর ব্যাপারে আগ্রহী আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন শুক্রবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে পুনরায় শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়ে সচেষ্ট হওয়ার একদিন পরই এর্দেন এ মন্তব্য করেন।
ওয়াশিংটনে শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে হিলারি বলেন, ‘এখনই এ সংকটের মূল বিষয় সীমান্ত ও নিরাপত্তা, বসতি স্থাপন, পানি, শরণার্থী এবং স্বয়ং জেরুজালেম নিয়ে আলোচনার উপযুক্ত সময়। ’
কিন্তু পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ইসরায়েল বড় আকারে তাদের বসতি সরিয়ে নিলে তা ইরানের মুসলিম মিত্রদের ঘাঁটিতে পরিণত হবে বলে এর্দেন সতর্ক করে দেন।
একইসঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের মন্তব্যও নাকচ করে দেন তিনি। শুক্রবার হিলারির বক্তব্যের পর ওবামা বলেন, ‘আলোচনার মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে জেরুজালেম বিভক্তির বিষয়টিও থাকবে। ’ কিন্তু তার এ বক্তব্য সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করেনা বলে বারাকের সমালোচনা করে বলেন এর্দেন।
তবে শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে গেলে তার দলের সরকারে থাকার আর কোনো প্রয়োজন নেই বলে রোববার সতর্ক করে দেন লেবার পার্টির সদস্য ও ইসরায়েলের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বেনিয়ামিন বেন ইলিয়েজের।
দেশটির সরকারি বেতারে তিনি বলেন, ‘কোনো শান্তি আলোচনা না থাকলে আমরাও কোনো সরকারি পদে থাকবো না। শুক্রবার হিলারির আহ্বানের পর প্রস্তাব দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের হাতে বর্তমানে খুবই কম সময় আছে। ’
বাংলাদেশস্থানীয় সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০