সিডনি: ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রের ভয়াবহ তাণ্ডবে একটি কাঠের তৈরি নৌযান টুকরো টুকরো হয়ে অন্তত ২৭ জন আশ্রয়প্রার্থী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কাস্টমস-এর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে জানান, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে ৪২ জন লোককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।
চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ইরাক ও ইরান থেকে আসা এই গ্রুপটির মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়াতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিসমাস দ্বীপের অধিবাসীরা এ ভয়াবহ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের মতে, মৃতদেহগুলো সমুদ্র ভাসছে।
স্থানীয় একজন দোকানদার বলেন, ‘পানিতে শিশু ভাসছিল। লাইফ জ্যাকেটে একটি ছোট্ট শিশুকে দেখ গেছে, মাথা নিচের দিকে। মারা গেছে। ‘
ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে এ ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নৌকাটি যাত্রীভর্তি ছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই পরিবার।
স্থানীয় কাউন্সিলর কমর ইসমাইল বলেন, ‘পাথরের সঙ্গে আঘাত লেগেই নৌকাটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আমি লোকজনের চিৎকার শুনেছি। তারা সাহায্য চাচ্ছে। আমার তাদের বলেছি, আমরা পারছি না। এর চেয়ে বেশি পারছি না। আমরা তাদের লাইজ জ্যাকেট ছুড়ে পারতাম। এর বেশি কিছু পারতাম না। ’
এর আগে ফাইং ডক্টর সার্ভিসের মুখপাত্র লেসলেই গ্রিন বলেন, ‘আমাদের মনে হয়, প্রায় ৫০ জন মারা গেছে, ৩৩ জন আহত অবস্থায় হাঁটাহাঁটি করছে। তবে আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না। ’ গুরুতর আহত আরও তিনজনতে সত্তর উদ্ধার করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০