সিউল: দক্ষিণ কোরিয়া এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় বেসামরিক প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে। বুধবার দুপুরে ১৫ মিনিটের ওই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ২টায় মহড়া শুরু হয়। এসময় ১০টি যুদ্ধ বিমান সিউল ও বুসানসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখে গেছে। এসময় জনসাধারণের গাড়ি রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখতে অথবা নিরাপদ স্থানে রাখতে বলা হয়।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনইএমএ) জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে আইন পাশ হওয়ার পর সারা দেশে একযোগে এ ধরনের মহড়া এটাই প্রথম।
মহড়ায় ১২টি যুদ্ধ বিমান অংশ নিয়েছে। পথচারীদের এসময় নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। রাজধানীর ফুটপাত খালি করা হয়।
এরআগে এনইএমএ বিবৃতিতে জানায়, দেশব্যাপী এ মহড়ার উদ্দেশ্য ইয়ংপিয়ং দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক সময়ের হামলার মতো পরিস্থিতি জনসাধারণকে বুঝানো। বিবৃতিতে বলা হয় জনসচেতনতা বাড়াতেই ওই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত সামরিক হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এবং পীত সাগরে সীমান্ত বিরোধ ও পিয়ংইয়ং এর তৃতীয় পরমাণু পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ মিনিট ধরে মহড়া চলে। ওই সময় রাজপথে সকল প্রকার যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকে। স্কুলের ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের নিরাপস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
বাড়ির লোকজনকে তাদের গ্যাস ও বিদ্যুত বন্ধ রাখতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। সাবোয়ের সাতটি স্টেশনের রেল যাত্রীদের মুখে গ্যাস মাস্ক পড়ে থাকতে বলা হয়।
মহড়ায় জাহাজ ও বিমান চলাচলের কোনো সমস্যা হবে না। এনইএমএ সারাদেশের ২৫ হাজার ৭২৪টি নিরাপদ স্থানে জরুরি দ্রব্যসামগ্রী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৯৫০-৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধের পর গত ২৩ নভেম্বর বড় ধরনের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তর কোরিয়ার গোলার আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নৌ সেনা ও দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০