সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরে বসবাস করা অভিবাসীদের জন্য ক্রমেই ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক একটি জরিপে এতথ্য পাওয়া গিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রিসোর্স কনসালট্যান্সির (ইসিএ) জরিপে জানাগেছে, অভিবাসীদের জন্য সিঙ্গাপুর বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম ব্যয়বহুল শহরে পরিণত হয়েছে। এর আগে দেশটি তালিকার ৯ নম্বরে ছিলো।
গত বছর ৭৯ নম্বরের তুলনায় বর্তমানে তা ৪২তম ব্যয়বহুল শহরে পরিণত হয়েছে বলেও জানাগেছে।
এশিয়ায় সিঙ্গাপুর জাপান, হংকং, বেইজিং, সাংহাই ও সিউল থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। তবে গত বছরের মতো এবছরও মুদ্রাস্ফীতি ও শক্ত মুদ্রাব্যবস্থা সিঙ্গাপুরকে অভিবাসীদের জন্য ব্যয়বহুল শহরে পরিণত করেছে বলে ইসিএ জানায়।
এশিয়ায় ইসিএ’র আঞ্চলিক পরিচালক লি কোয়ানে বলেন, ‘গত ছয় মাসে সিঙ্গাপুরের ডলারের মূল্যমান মার্কিন ডলারের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। এটা অপরিবর্তিত থাকলে দেশটিতে অভিবাসীদের নিয়ে আসা আরও ব্যয়বহুল হবে। বিশেষত দেশটির প্রাকৃতিক প্রতিদ্বন্দ্বি হংকং এর তুলনায়। ’
লি কোয়েন জানান, তিন বছর আগেও সিঙ্গাপুরে অভিবাসীদের পারিশ্রমিক হংকং এর তুলনায় ১৫ শতাংশ কম ছিলো। আর বর্তমানে ব্যবধান মাত্র ২ শতাংশ।
তারপরও ইসিএ’র জরিপে দেখা যায়, সিঙ্গাপুর এখনও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অন্যতম একটি দেশ। এক্ষেত্রে এটি চতুর্থ স্থান দখল করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং চীন থাকলেও হংকং সিঙ্গাপুর থেকে পিছিয়ে আছে। এশিয়ায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সদরদপ্তরের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর তৃতীয় পছন্দের দেশ। এর আগে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
ইসিএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ান রিগওয়েল বলেন, ‘রোম ও মিউনিখের মতো অনেক ইউরোপীয় দেশ থেকেও সিঙ্গাপুর এখন অভিবাসীদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল একটি দেশে পরিণত হয়েছে। এটা এখন ক্রমেই লন্ডনের মতো হয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশই বর্তমানে তাদের অভিবাসী আইন কঠোর করছে। তবে সিঙ্গাপুর যদি তা না করে তাহলে দেশটি এখনও সর্বোচ্চ মেধাবীদের পাওয়ার সম্ভবনা আছে। ’
তবে এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারি-কর্মকর্তাদের স্ত্রীদের চাকরি, সন্তানদের পড়াশোনা, ক্যারিয়ারের বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং অজনপ্রিয় স্থানের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জানাগেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০