শুনলে অবাক হতে হবে যে বিদেশি প্রতিষ্ঠান এবং এর কর্মকর্তাদের জন্য এখন বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। মার্সার নামক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নতুন একটি গবেষণায় জানা গেছে, অ্যাঙ্গোলার তেল সমৃদ্ধ লুয়ান্ডা শহরটি বর্তমানে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর।
মার্সার বিশ্বের ২১৪টি শহরের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালনা করে। বাড়িভাড়া, দ্রব্যমূল্য, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসহ মোট ২০০ ক্ষেত্রে খরচের অনুপাতের ভিত্তিতে এ গবেষণা করা হয়।
এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে টোকিও। লুয়ান্ডা ছাড়াও আরও দু’টি আফ্রিকান দেশ রয়েছে সেরা দশের তালিকায়। সাদ এর শহর নাজামিনা রয়েছে তিন নম্বর অবস্থানে এবং গ্যাবনের লিব্রেভিল রয়েছে সাত নম্বর অবস্থানে। আফ্রিকার এ তিনটি দেশই তেল সম্পদে সমৃদ্ধ।
অবাক করার মত বিষয় হল যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলি বিদেশিদের জন্য তুলনামূলক স্বস্তা। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী নিউইয়র্ক ছিল ব্যয়বহুল শহরগুলির মধ্যে অষ্টম অবস্থানে। এ বছর নিউইয়র্কের অবস্থান ২৭তম। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরগুলিও তালিকায় অনেক নিচের দিকে অবস্থান করছে।
ইউরোপের ৪টি শহর রয়েছে শীর্ষ তালিকায়। রাশিয়ার মস্কোর অবস্থান রয়েছে ৪ নম্বরে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা ৫ এবং জুরিখ রয়েছে ৮ নম্বরে। ডেনমার্কের কোপেনহেগেন অবস্থান করছে এ তালিকার ১০ নম্বরে।
এশিয়ার ব্যয়বহুল শহরগুলি রয়েছে জাপানে। জাপানের শহর টোকিও শীর্ষ তালিকার দুই নম্বরে এবং ওসাকা ৬ নম্বর অবস্থানে রয়েছে। জুরিখের সঙ্গে তালিকার ৮ নম্বরে অবস্থান করছে হংকং।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১০