ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মানসিক ভারসাম্যহীন ৭০ ব্যক্তিকে বিক্রি করেছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০

বেইজিং: মানসিক ভারসাম্যহীনদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র কমপক্ষে ৭০ জন অসুস্থ ব্যক্তিকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম চীনের লাইসেন্সহীন এ কেন্দ্রটি চলতি বছর অবৈধভাবে এ কাজ করে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বুধবার এ তথ্য জানায়।

তবে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়স্ক এসব শ্রমিকদের মানসিক অসুস্থতা বা অক্ষমতার বিষয়টি স্পষ্ঠভাবে জানানো হয়নি।

চলতি সপ্তাহে চীনের দাস শ্রমিকদের কেলেঙ্কারির বিষয়টি উত্থাপিত হলে তদন্তকারীরা এ ঘটনা আবিষ্কার করেন। চীনের পশ্চিমের জিনঝিয়াঙ্গে ওই আশ্রয়কেন্দ্রের বিক্রি করা ১১ জন শ্রমিককে বছরের পর বছর থেকে ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করানোর জন্য কর্তৃপক্ষ কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়ার পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়।  

দেশের সিচুয়ান প্রদেশের বেসামরিক বিষয় সংক্রান্ত কর্মকর্তা ইয়ু হংকোর বরাত দিয়ে চায়না ডেইলি বলে, ‘১৯৯৬ সাল থেকে জেঙ্গ লিঙ্গকোয়ান কমপক্ষে ৭০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে কাজের জন্য বেইজিং, তিয়ানজিন ও অন্যান্য শহরে পাঠিয়েছে। জেঙ্গ এমনকি তাদের নাম বা নাম্বারও জানেনা। ’

চীনের কেন্দ্র ও উত্তরাঞ্চলের ইটের ভাটায় হাজার হাজার শ্রমিককে জোর করে কাজ করানোর ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার   তিন বছর পর এ ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এদিকে মঙ্গলবার জিনঝিয়াঙ্গের জিয়ারসি গ্রীণ কনস্ট্রাকশন মেটেরিয়াল কেমিক্যাল কারখানার মালিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি দাস শ্রমিকদের সিচুয়ানের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়।

তবে পাঁচজন শ্রমিকের জন্য ওই আশ্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে ১ হাজার ৩৫০ ডলারের চুক্তি হয় বলে লি দাবি করেন। পরবর্তীতে তাদের প্রতি মাসে অতিরিক্ত আরও ৩০০ ইয়েন করে দেওয়া হয় বলে আগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়।

কিন্তু বাস্তবে শ্রমিকদের নোংরা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাহীন অবস্থায় ঘন্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হতো। একইসঙ্গে তাদের প্রহার করাসহ কারখানার মালিকের কুকুরের খাবার তাদের দেওয়া হতো। দ্য বেইজিং নিউজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।

একইসঙ্গে তাদের কখনোই কোনো বেতনভাতা দেওয়া হয়নি এবং তাদের মধ্যে অনেকে চার বছরেরও বেশি সময় কাজ করেন বলে ওই প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়।

এদিকে কতজনকে এ দাসপ্রথায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা জানা না গেলেও শুধু শানঝি’র ২ হাজারেরও বেশি অবৈধ ইটের ভাটাতেই প্রায় ৫৩ হাজার অভিবাসীদের জোরপূর্বক কাজ করানো হয় বলে সংসদীয় এক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।  

এর পর থেকেই চীনে একের পর একের দাসেত্বর ঘটনাগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।