ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ভারতে সংখ্যালঘু উন্নয়নে নজরদারি কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৫, জুলাই ১, ২০১৩

নয়াদিল্লি: সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্প ঠিকঠাকভাবে রূপায়ণ করতে জাতীয় স্তরে আলাদা নজরদারি কমিটি গঠন করতে চলেছে ইউপিএ সরকার। এ কমিটি রাজ্যস্তরে প্রকল্প রূপায়ণের বিষয়টি দেখভাল করবে।



লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু উন্নয়নকে যে ইউপিএ সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তা এ নজরদারি কমিটি গঠনের মধ্যেই স্পষ্ট।
 
এমনিতে সব মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রের নজরদারি কমিটি রয়েছে। তবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্প  এদিক দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে বলেই এ পৃথক কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী কে রহমান খান বলেন, “জাতীয়স্তরের এ কমিটি রাজ্যস্তরের সমস্ত কাজ দেখভাল করবে। এ ছাড়া প্রতিটি রাজ্যেও প্রকল্পের কাজকর্ম বাস্তবায়িত করতে কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হবে। ”

সংখ্যালঘু উন্নয়ন সম্পর্কে দিল্লির সদিচ্ছার কথা তুলে ধরে রহমান খান জানান, ভারতজুড়ে সংখ্যালঘু উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার নানা ধরনের কাজ করলেও কেন্দ্রের  এ কাজকে নিজের কাজ বলে চালিয়ে দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। উপযুক্ত প্রচারের অভাবেই এ ভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে।
    
তার বক্তব্য, রাজ্যস্তরে যে কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা হবে, তাদের মাধ্যমেই কেন্দ্র সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পের প্রচার কাজ সারা হবে।

রহমান আরও জানান, ভারতজুড়ে প্রায় এককোটি সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এছাড়া সাচার কমিটির সুপারিশ মেনে বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাসহ ব্লকগুলিকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর ফলে কেবল জেলা নয়, সংখ্যালঘু উন্নয়নের ফায়েদা পৌঁছে যাবে সরাসরি ব্লক স্তরে।

মুসলিম মহলের একাংশের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোটব্যাংক বাঁচাতেই কেন্দ্র সরকার সংখ্যালঘু উন্নয়নে এ ধরনের কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে।

সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজ দেখভালের জন্য প্রতিটি রাজ্যেই সংখ্যালঘু কমিশন রয়েছে। এ ছাড়াও সারাদেশের ৯০টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা নির্দিষ্ট করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এ জেলাগুলিতে জেলাশাসকের অধীনে রয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন কমিটি। এতকিছু সত্ত্বেও সংখ্যালঘু উন্নয়নের অর্থ সঠিক কাজে লাগছে না বলে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বর্তমান পরিকাঠামোতেই সংখ্যালঘু উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের আন্তরিকতার অভাব দেখা গিয়েছে। তাই সালমান খুরশিদের নজরদারি কমিটির প্রস্তাব কিছুটা আশা জাগাতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম ও আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।